আজ মেহেরপুর মুক্ত দিবস

  06-12-2019 01:31AM



পিএনএস ডেস্ক: ৬ ডিসেম্বর। মেহেরপুর মুক্ত দিবস। মুক্তিবাহিনীর প্রতিরোধের মুখে দাঁড়াতে না পেরে হানাদার বাহিনীরা জেলাটি ছেড়ে পালিয়ে যায়। মেহেরপুরবাসী পায় স্বাধীন ভূমি। আনন্দ আর উল্লাস করতে করতে সর্বস্তরের মানুষ নেমে আসে রাস্তায়।

মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক আতাউল হাকিম লাল মিয়া জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে মেহেরপুরের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ভারতের বিভিন্ন স্থানে প্রশিক্ষণ শেষে মুক্তি বাহিনী প্রবেশ করে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। দেশকে মুক্ত করতে চারদিক থেকে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে মুক্তি বাহিনী।

৫ ডিসেম্বর বিকেলে জেলার বিভিন্ন দিক দিয়ে পাকবাহিনীর উপর আক্রমণ করা হয়। অপর আক্রমণটি করা হয় মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের বামুন্দিতে। অবস্থা বেগতিক দেখে ৫ ডিসেম্বর রাত থেকেই পাক বাহিনী মেহেরপুর থেকে কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গার দিকে পিছু হঠতে শুরু করে। আর কুষ্টিয়া সড়কের খলিশাকুন্ডি দিয়ে পালিয়ে যায় পাক বাহিনী।

যাওয়ার সময় আমঝুপি দ্বিনদত্ত ব্রিজ, ওয়াবদাসহ বহু গুরত্বপূর্ণ স্থান ধ্বংশ করে দিয়ে যায়। ৬ ডিসেম্বর সকালে আর কোনো পাক বাহিনীর সদস্যকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। মুক্ত হয় প্রথম অস্থায়ী রাজধানী মুজিবনগর।

মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ হুমায়ুন কবির আরজু জানান, স্বাধীন জেলায় জয় বাংলা স্লোগানে উল্লাসে ফেটে পড়ে মুক্তিযোদ্ধারা। সাথে যোগ দেয় সাধারণ মানুষ। কেউ পতাকা উড়ানো কেউ মিষ্টি বিতরণ আর কেউবা ব্যস্ত হয়েছে প্রিয়জনের সাথে সাক্ষাতে। এখন একমাত্র চাওয়া বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা দেখে যাবার।

আর মেহেরপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বশির আহম্মেদ জানান, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধগুলো সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা। এ জেলায় যেসব গণকবর আছে সেগুলো সংরক্ষণের দাবি করেন সাবেক এ জেলা কমান্ডার। এ ছাড়াও স্বল্প সময়ের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই শেষে সঠিক তালিকা প্রকাশের দাবিও করেন তিনি।

পিএনএস/হাফিজ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন