প্রতিশোধ নিতেই আনসার সদস্যকে হত্যা!

  16-12-2019 02:27AM



পিএনএস ডেস্ক: যশোরের হাসিমপুর বাজারে আনসার সদস্য হোসেন আলী হত্যার রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত সাত আসামিকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

পারিবারিক কলহ, আধিপত্য বিস্তার এবং খুনের প্রতিশোধ নিতেই এ হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশের দাবি।
রোববার দুপুরে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) তৌহিদুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, গত ৩০ নভেম্বর সকালে যশোরের হাশিমপুর বাজারে একটি চায়ের দোকানের সামনে ৯ থেকে ১০ জন সন্ত্রাসী হোসেন আলীকে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। ঘটনা পরই যশোর কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। ঘটনার ওই দিন নিহতের ছেলে হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

১২ ডিসেম্বর পুলিশ আমিনুর রহমান মিঠু নামে একজনকে গ্রেফতার করে ও রিমান্ডে নেয়। মামলাটি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় তদন্তে এটি গোয়েন্দা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।

তৌহিদুল ইসলাম জানান, মিঠুর দেয়া তথ্য অনুযায়ী ১৪ ডিসেম্বর রাতে পুলিশের একাধিক টিম ঢাকার কাফরুল ও ভাসানটেক এলাকায় অভিযান চালায়।

সেখান থেকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত রাসেল, আনোয়ার, হাবিল ওরফে বার্মিজ, বিজয় বিশ্বাসকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী একইরাতে যশোরের হাশিমপুর বাজার থেকে সুজন ও সজল এবং মাগুরার শালিখা উপজেলার আড়পাড়া থেকে আলী রাজ বাবু ওরফে ছোটবাবুকে আটক করা হয়।

হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি জুয়েল ও মুন্নাকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরও জানান, অভিযানকালে পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি মোটরসাইকেল, একটি চাকু, ১০টি মোবাইলফোন সেট ও একাধিক সিম উদ্ধার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে জুয়েলের সঙ্গে হোসেন আলী তরফদারের স্থানীয়ভাবে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কলহ ছিল। এক সময়ের চরমপন্থী সংগঠনের সদস্য হোসেন আলী সরকারের সাধারণ ক্ষমার আওতায় আসেন।

পরে তাকে আনসার বাহিনীতে চাকরি হয়। কিন্তু চাকরিতে থাকা অবস্থায়ও ওই বাহিনীর সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা ছিল। জুয়েলের ভাই বাবলা ও মুন্নার বাবা বুলি সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হওয়ার ঘটনায় হোসেন আলীর হাত ছিল বলে তাদের (জুয়েল ও মুন্না) সন্দেহ ছিল। এ সব কারণে হোসেন আলী খুন হয়েছেন বলে পুলিশের দাবি।

পুলিশ জানায়, মামলা তদন্তে তারা জানতে পারেন, জুয়েল ও মুন্নার নেতৃত্বে ওই এলাকায় একটি সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ১৫ থেকে ২০ জনের একটি গ্রুপ নিয়ে তারা এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদকদ্রব্য বিক্রি, ভাড়াটে খুনি হিসেবে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

পিএনএস/ হাফিজ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন