ধান ক্রয়ের তালিকার লটারিতে মৃত ব্যক্তির নাম!

  21-01-2020 02:23AM



পিএনএস ডেস্ক: কুড়িগ্রামের চিলমারীতে সরকারিভাবে ধান ক্রয়ের লটারিতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তালিকার লটারিতে মৃত ব্যক্তির নামসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।

জমিজমা না থেকেও লটারিতে বিজয়ী হয়েছে অনেক কৃষক। কৃষকের বদলে সিন্ডিকেট কৌশল অবলম্বনে দালাল-ফড়িয়ারা ধান দিচ্ছেন সরকারি গুদামে।

উপজলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে, চিলমারী উপজেলায় চলতি বছরে আমন ধান ২৬ টাকা কেজি দরে ৮৮১ মেট্রিক টন ধান, সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ধান সংগ্রহ কার্যক্রম চলবে।

কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক লটারির মাধ্যমে কৃষক নির্বাচন করা হলেও তালিকায় ব্যাপক অনিয়ম পাওয়া যায়।

উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের বাসিন্দা মৃত ব্যক্তি আ. মজিদ পিতা আকবর আলীর নাম ওঠে। থানাহাট ইউনিয়ন পরিষদের মৃত ব্যক্তির তালিকায় তার মৃত (সিরিয়াল নং-১৪৯৬)।

এ ছাড়াও লটারিতে এমন কৃষকের নাম উঠেছে যার বিন্দুমাত্র জমিও নেই।

সরকারিভাবে ধান ২৬ টাকা কেজি দরে দাম নির্ধারণ করে ক্রয় করা হলেও এর সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রকৃত কৃষকরা। শুধু তাই নয় সিন্ডিকেটের লোকজন কৌশলে কৃষকদের কাছ থেকে কৃষি কার্ড, জাতীয় পরিচয়পত্র, ছবি এবং ব্যাংক হিসাবের চেক হাতিয়ে নিচ্ছে। ব্যাংক হিসাব না থাকা কৃষকদের ব্যাংক হিসাবও খুলে দিচ্ছেন সিন্ডিকেটরা।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কুমার প্রণয় বিষাণ দাশ বলেন, তালিকাগুলো অনেক আগে করা হয়েছে। তাই এ রকম হতে পারে। কিন্তু মৃত ব্যক্তির নাম কীভাবে আসল তা ক্ষতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ দিকে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা (ভার.) খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম জানান, কৃষকরাই ধান নিয়ে আসছে গুদামে। যদি এমন অভিযোগ থাকে তাহলে সেটিই আমাদের কৃষি অফিসার দায়ী। কারণ কৃষক তালিকা তৈরি সম্পূর্ণ কৃষি অফিসের দায়িত্ব।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহ বলেন, কৃষি অফিসের তালিকা অনুযায়ী লটারির মাধ্যমে কৃষক নির্বাচন করা হয়েছে। লটারিতে নির্বাচিত কৃষকদের কাছ থেকেই ধান নেয়া হচ্ছে। কৃষকদের বদলে ফড়িয়া বা দালাল সিন্ডিকেট বা তালিকায় কোনো প্রকার অনিয়ম থাকলে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পিএনএস/হাফিজ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন