কন্যা বলে নবজাতককে পুকুরে ফেলে হত্যা করল মা

  18-02-2020 06:37PM

পিএনএস ডেস্ক : মেয়ে বলে সদ্যোজাত সন্তানকে পানিতে ফেলে হত্যা করেছে গর্ভধারিণী মা মোছা. কোহিনুর বেগম (২৫)।

এ ঘটনায় মাকে গ্রেপ্তার করেছে বীরগঞ্জ থানা পুলিশ। ওই নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার দিবাগত রাতে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার শতগ্রাম ইউনিয়নের নোহাইল গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।

কোহিনুর বেগম নোহাইল গ্রামের আবদুর রশিদের স্ত্রী।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ বছর আগে বীরগঞ্জ উপজেলার শতগ্রাম ইউনিয়নের নোহাইল গ্রামের মো. আলালের ছেলে মো. আবদুর রশিদের সঙ্গে একই উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের খামার খড়িকাদম গ্রামের মো. সুলতান আলীর মেয়ে কোহিনুর বেগমের সঙ্গে বিয়ে হয়।

বিয়ের তিন বছর পর কোহিনুর একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। রিয়া মনি নামে ওই কন্যা সন্তানের বয়স এখন দুই বছর।

পরিবারের লোকজন জানান, কারও কোনো অভিযোগ না থাকলেও কন্যা সন্তানের প্রতি ক্ষোভ মা কোহিনুর বেগমের। তাই আবার গর্ভবতী হলে তিনি এবার পুত্র সন্তানের বাসনা করেন।

কিন্তু গত সোমবার দুপুরে কোহিনুর বেগম জন্ম দেন আরেকটি কন্যা সন্তান। আবারও কন্যা সন্তান হওয়ায় রাতে সবার অগোচরে নবজাতটিকে কাপড় মুড়িয়ে পানিতে ফেলে দিয়ে আত্মগোপন করেন গর্ভধারিণী।

বাড়ির লোকজন মা ও নবজাতক সন্তানকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। একপর্যায়ে বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে নবজাতক শিশুটিকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। কিন্তু মা কোহিনুর বেগম তখনো নিখোঁজ ছিলেন।

পরে পুলিশ খবর পেয়ে বাড়ির পাশের একটি বিল থেকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় রাতেই কোহিনুর বেগমকে আটক করে বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রসূতি বিভাগে ভর্তি করে।

কোহিনুর বেগমের স্বামী আবদুর রশিদ জানান, স্ত্রী ও কন্যা সুস্থ ছিল। বিকেলে বাড়ির পাশে অর্জুনাহার বাজারে যান তিনি। রাত ৮টায় ফিরে এসে দেখেন ঘরে নবজাতক ও স্ত্রী নেই।

বীরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিমাই কুমার রায় জানান, খবর পেয়ে নবজাতকের লাশ উদ্ধার এবং মা কোহিনুর বেগমকে আটক করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি।

বীরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নবী হোসেন খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নবজাতকের বাবা আবদুর রশিদ বাদী হয়ে কোহিনুর বেগমকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ে করেছেন।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন