করোনা সন্দেহ: পাঁচ হাসপাতাল ঘুরে ছেলের লাশ নিয়ে ফিরলেন বাবা

  29-03-2020 03:32PM

পিএনএস ডেস্ক : ছেলেকে নিয়ে পাঁচ হাসপাতাল ঘুরে করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রান্ত সন্দেহে চিকিৎসা না পেয়ে শেষ পর্যন্ত লাশ নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন বাবা মোখলেছুর রহমান।

হতভাগ্য এই বাবা নওগাঁর রানীনগর উপজেলার কালীগ্রাম ইউনিয়নের অলঙ্কারদীঘিপাড়ার বাসিন্দা।

শনিবার তিনি বলেন, তার ছেলে আল-আমিন দীর্ঘদিন নারায়ণগঞ্জের একটি কাপড়ের দোকানে কাজ করে আসছিল। শুক্রবার রাতে জ্বর ও সর্দি-কাশি নিয়ে নওগাঁয় পৌঁছে।

তিনি জানান, শনিবার সকালে বাড়িতে আসার সময় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে স্থানীয় মেম্বার ও লোকজন তাকে গ্রামে ঢুকতে দেয়নি। রাস্তার ওপর থেকেই চিকিৎসার জন্য তাকে আদমদীঘির হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।


আল-আমিনের বাবা বলেন, ওই হাসপাতাল থেকে তার ছেলেকে কোনো চিকিৎসা না দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়। এরপর তাকে নিয়ে ভেটি কমিউনিটি ক্লিনিকের বারান্দায় মুমূর্ষু অবস্থায় রাখেন তিনি। সেখান থেকে ইউএনও’র সঙ্গে যোগাযোগ করে রানীনগর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এরপর চিকিৎসকরা সেখান থেকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে কোনো ধরনের চিকিৎসা না দিয়ে আল-আমিনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে সেখানে তার মৃত্যু।

রবিবার মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘ছেলেকে নিয়ে পাঁচটি হাসপাতাল ঘুরেছি। কেউ করোনা সন্দেহে চিকিৎসা দেয়নি। শেষ পর্যন্ত রামেকে ভর্তি করা হলে শনিবার রাতে আমার ছেলে মারা যায়।’

জানা গেছে, রানীনগর উপজেলার কালীগ্রাম ইউনিয়নের অলঙ্কারদীঘিপাড়ায় বেলা ১১টার দিকে আল-আমিনকে দাফন হয়।

রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক সাইফুল ফেরদৌস জানান, শনিবার রাতে আল-আমিন মারা যান। রাতেই পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। জ্বর ও সর্দি কাশি থাকলেও মস্তিষ্কের সংক্রমণে সে মারা যায়।

এদিকে করোনা সন্দেহে চিকিৎসা না পেয়ে আল-আমিন মারা গেলেও তার নমুনাও সংগ্রহ করা হয়নি বলে জানা গেছে।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন