ফের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষ, আহত ২০

  22-05-2020 09:26PM

পিএনএস ডেস্ক : করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে জনসমাগমের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বাড়ির রাস্তাকে কেন্দ্র ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার সকালে দু’পক্ষের এই সংঘর্ষে কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়েছে।

এ সময় সাতটি বাড়ি ভাঙচুর ও দুই ঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়।

এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের শোলাবাড়ি গ্রামের আড়ি মিয়ার বাড়ির প্রায় ৫০টি পরিবার তাদের যাতায়াতের জন্য কোনো রাস্তা না থাকায় স্বপন মিয়ার বাড়িরর আব্দুল হকের বাড়ির ওপর দিয়ে যাতায়াত করে। এ ঘটনায় তাদের মাঝে দীর্ঘ ৫ বছর ধরে বিরোধ চলে আসছিল। রাস্তা নিয়ে বেশ কয়েকটি সালিস সভাও হয়।

আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান দ্বীন ইসলাম, সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য দুলাল মিয়াসহ এলাকার সর্দারগণ সালিসে বসেন। সালিসের এক পর্যায়ে সকাল ৯টায় উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

দেড়ঘণ্টা ব্যাপী সংঘর্ষে ৪০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে—আব্দুল আজিজ, মুসা মিয়া, জাকির মিয়া, জুয়েল মিয়া, জুয়েল হোসেন, আব্দুর রউফ, আবু বক্কর, আক্তার হোসেন, কুদ্দুস মিয়া, কবীর হোসেনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি ও অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া গুরুতর আহত দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় দাঙ্গাবাজরা ইব্রাহিম মিয়া, জোহরা খাতুন, আক্তার মিয়া, মলাই মিয়ার বর্জু মিয়ার বাড়িঘর ভাঙচুর চালায় এবং আক্তার হোসেনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল হক সংঘর্ষেরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

প্রসঙ্গত, এলাকায় গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান ও এলাকার আবু কাউছার মোল্লার সশস্ত্র লোকজনের মধ্যে পূর্ব বিরোধের জের ধরে গত ১২ এপ্রিল দফায় দফায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশত লোক আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে কাউছার মোল্লার পক্ষের লোকজন পৈশাচিকভাবে প্রতিপক্ষের রিকশাচালক মোবারক মিয়ার (৪৫) একটি পা কেটে নেন। পরে ওই পা হাতে নিয়ে গ্রামে জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে আনন্দ মিছিল করেন দাঙ্গাবাজরা। পরে গুরুতর আহত মোবারক চারদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে গত ১৫ এপ্রিল মারা যায়। এ ঘটনায় গত ১৭ এপ্রিল কবির আহমেদ চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করে ১৫২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন