পিএনএস, গাইবান্ধা প্রতিনিধি : উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে আসন্ন বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে ব্যাপক নদীভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ফলে গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী ইউনিয়নের বরমতাইড় এবং আদর্শ গ্রামের শতাধিক পরিবারের বসতভিটা ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ দু’টি গ্রাম থেকে প্রায় ১৫০ মিটার দুরত্বে অবস্থান করছে যমুনা নদী। যেভাবে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে স্বল্প সময়ে নদীগর্ভে চলে যেতে পারে মাঝিপাড়া ও আদর্শ গ্রাম। ভয়াবহ নদী ভাঙনের কবলে পড়ে প্রায় সর্বশান্ত হয়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে দুই সহস্রাধিক জেলে সম্প্রদায়ের পরিবার।
মঙ্গলবার বিকেলে যমুনা নদীর ডানতীর বাঁধের সংস্কার কাজ এবং নতুন করে কোন সংস্কারের প্রয়োজন আছে কি না ও দক্ষিণ উল্যাহর নদী ভাঙ্গন পরিস্থিতি দেখতে সরেজমিনে পরিদর্শনে আসেন রংপুর বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো: আব্দুস শহীদ ও গাইবান্ধা পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মোখলেছুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন ভরতখালী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শামছুল আজাদ শীতলসহ অন্যান্যরা।
করোনায় সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে, গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরিভাবে নদীতে বালুর জিও ব্যাগ ফেলানোর কাজ করছে। এর পরও ভাঙন প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না। ভাঙন আতংকে ইতোমধ্যেই সহস্রাধিক পরিবার বাড়িঘর সরিয়ে নিয়ে অন্যত্র চলে গেছে।
এব্যাপারে রংপুর বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো: আব্দুস শহীদ বলেন, ভাঙ্গনের বাস্তবচিত্র নীতি নির্ধারক মহলে পাঠানো হবে যাতে নদীভাঙ্গন কবলিত ভরতখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ উল্যাহর মাঝিপাড়া ও আদর্শ গ্রামে নদীর দুরুত্ব ১৫০ মিটার অবস্থান হওয়ায় ওই স্থানে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে, স্থানীয় বসতবাড়ির লোকজনদের আশ্বস্ত করেন তিনি।
পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল
যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি : বসতভিটা ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন
03-06-2020 07:47PM