বিনা অপরাধে কারাভোগ, অবশেষে মুক্তি পেলেন রুবেল

  04-06-2020 04:09AM

পিএনএস ডেস্ক : নাম ও বাবার নাম এক হওয়ায় বিনা অপরাধে আড়াই মাস জেল খেটে অবশেষে জামিনে মুক্তি পেলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের চরপাঁকা এলাকার মন্টু আলির ছেলে রুবেল (২৬)।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বুধবার (৩ জুন) তার জামিন মঞ্জুর করেন।

শিবগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামসুল আলম শাহ জানান, দুজনের নাম ও বাবার নাম এক ছিল। ওয়ারেন্টে গ্রামের নাম জামাইপাড়া উল্লেখ না থাকায় পুলিশ ওই ভুল করে। এছাড়াও ওই সময় বিষয়টি রুবেলের পরিবার পুলিশকে যথাযথভাবে বুঝাতে ব্যর্থ হয়।

শিবগঞ্জ থানা পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে তদন্ত করে তাদের ভুলের ব্যাপারটি নিশ্চিত হয়। সেই প্রেক্ষিতে বুধবার আদালতে ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে ভুল স্বীকার করে এবং নিরপরাধ রুবেলকে জামিন দেয়ার আবদেন করে। সেই সাথে অভিযুক্ত রুবেলের নামে জারি করা ওয়ারেন্টটি পুনরায় থানায় ফেরৎ পাঠানোর আবেদন করে।

আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে নিরপরাধ রুবেলকে জামিনে মুক্তি দেন। সন্ধ্যায় রুবেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পায়। অপরাধী রুবেলকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানায় ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

প্রসঙ্গত, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কালুপুর থেকে গাঁজা সেবনের অভিযোগে ২০১৮ সালের ৬ এপ্রিল গ্রেফতার করা হয় পাঁকা ইউনিয়নের চরপাঁকা কদমতলা গ্রামের মন্টু আলীর ছেলে রুবেল আলী ওরফে রুবেল বাবুলকে (২৬)। শিবগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবদুস সালাম ওইদিনই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ২৬ ধারায় রুবেল বাবুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন (মামলা নং-১৫)। পরে তাকে জেলে পাঠানো হয়। এর পাঁচদিন পর রুবেল জামিনে মুক্তি পান। তিন দফা আদালতে হাজিরা দেয়ার পর হঠাৎ তিনি উধাও হয়ে যান।

একপর্যায়ে ওই বছর ১০ জুলাই এসআই বাবুল ইসলাম আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দিলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রুবেল বাবুলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর পরোয়ানাটি দীর্ঘ সময় শিবগঞ্জ থানায় পড়ে ছিল। কিন্তু চলতি বছরের ১০ মার্চ রাতে ওই পরোয়ানামূলে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ পাঁকা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতাউর রহমানের গ্রামের বাড়ি থেকে মাদকসেবী রুবেলের পরিবর্তে জামাইপাড়া গ্রামের মো. মন্টুর ছেলে মো. রুবেলকে (২৩) গ্রেফতার করেন।

পুলিশের ভুলের কারণে গ্রামের নাম আলাদা হলেও আসামি ও তার বাবার নামে মিল থাকায় একজন নিরপরাধ অসুস্থ ব্যক্তিকে আড়াই মাস ধরে জেলে থাকতে হলো।

পিএনএস/ এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন