পুলিশের ফেসবুক পেজের ইনবক্সে আসে ভিডিও, অতঃপর যা ঘটল

  08-07-2020 08:09PM

পিএনএস ডেস্ক : পটুয়াখালী সদর থানার মরিচবুনিয়া গ্রামে মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তিকে গত ২৫ জুন দুর্বৃত্তরা রাতের আঁধারে মারাত্মকভাবে জখম করে ফেলে রেখে যান। তবে ওই ব্যক্তির পরিচয়ও বা তাকে কারা মারধর করেছেন তা স্থানীয়দের কাছে অজানা থেকে যায়।

এ ঘটনার পর ওই এলাকার একজন সচেতন নাগরিক ভুক্তভোগীর তথ্যসহ ভিডিও করে ঘটনাটি বাংলাদেশ পুলিশের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করে জানান। বিষয়টি নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পটুয়াখালীর পুলিশ সুপারকে অবগত করে বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং। এর পরই অনুসন্ধানে নামে জেলা পু‌লিশ।

অনুসন্ধানে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ভুক্তভোগী জুয়েল (২৬) মানসিক ভারসাম্যহীন এবং অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের সন্তান। সংসারে মা-ই তার একমাত্র অবলম্বন। অভাবের কারণে বেশ কিছুদিন ধরে জুয়েলের মা তার খালার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। ভারসাম্যহীন জুয়েল এদিক সেদিক ঘোরাফেরা করতেন এবং যেখানে যা পেতেন তাই খেতেন। করোনার কারণে মরিচবুনিয়া গ্রামের দীনিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় জুয়েল সেখানে একাকি রাত্রী যাপন করতে শুরু করেন। গত ২৫ জুন কে বা কারা জুয়েলকে মারধর করে মারাত্মভাবে জখম করেন।

পুলিশ সদর দপ্তরের এআই‌জি (মি‌ডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. সোহেল রানা বলেন, ‘অনুসন্ধানে ঘটনা ও অভিযোগের প্রাথ‌মিক সত্যতা পাওয়ার পর মূল অভি‌যুক্ত ফোরকান হাওলাদার ও আবুল হাওলাদার‌কে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে টিআই প্যারেডের মাধ্যমে জুয়েল ও সং‌শ্লিষ্ট‌রা আসামি ফোরকান ও আবুলকে শনাক্ত করেন যে, তারাই জুয়েলকে মারধর করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় পটুয়াখালী সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে এবং পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার ভিকটিমের সু‌চি‌কিৎসার ব্যবস্থা করেছেন।’

পিএনএস-জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন