চাল কেলেঙ্কারি: 'দোষী' ইউএনও সাঈকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ

  31-07-2020 12:18AM

পিএনএস ডেস্ক : কক্সবাজারের পেকুয়ায় ত্রাণের ১৫ মেট্রিক টন সরকারি চাল বিতরণ না করে আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে পরোক্ষভাবে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাঈকা সাহাদাত। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে জানিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

এ ছাড়া দোষী প্রমাণিত হওয়ায় কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের একই ইউনিয়ন সাধারাণ সম্পাদক মো. জাহেদুল ইসলাম চৌধুরীকে চেয়ারম্যানের পদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বুধবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ ইফতেখার আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলামকে অপসারণের আদেশ দেওয়া হয়।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, জেলা প্রশাসক কক্সবাজারের সুপারিশক্রমে স্থানীয় সরকার বিভাগ বুধবার চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পাশাপাশি স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ধারা ৩৪(৪) (ঘ) অনুযায়ী তাকে কেন চূড়ান্ত অপসারণ করা হবে না তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। এতে সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারায় ও বিভাগীয় তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় একই আইনের ৩৪ (৫) ধারায় তাকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ/স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। একইসঙ্গে পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, সরকারি চাল আত্মসাতের ঘটনায় গত ৩০ এপ্রিল চট্টগ্রাম স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) দীপক চক্রবর্তীকে আহ্বায়ক করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ওই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে জাহেদুল ইসলাম চৌধুরীকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাঈকা সাহাদাতকে এ ঘটনায় পরোক্ষভাবে দায়ী করা হয়েছে। তার ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন