যমুনা গর্ভে বিলীন ১০ একর ফসলি জমি ও বাড়ি-ঘর

  18-09-2020 07:24PM

পিএনএস ডেস্ক : দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়ন দিয়ে বয়ে যাওয়া একান্ন ছোট যমুনা নদীতে বৃষ্টি ও উজানের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে কচুয়াপাড়া (হিন্দুপাড়া) গ্রাম।

শুক্রবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ইউনিয়নের বেশ কিছু বসত বাড়ি ও কচুয়াপাড়া গ্রামের উত্তর পাড়ার রাস্তাসহ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রায় ১০ একর আবাদি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

গ্রামবাসী মনে করছেন, নদী ভাঙন রোধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে আবাদি জমিসহ ভিটেহীন হয়ে পড়বে কচুয়াপাড়াবাসী।

গত বছরেও অনেক ফসলি জমি রাস্তাসহ এই নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। এতে বিপর্যয় ঘটছে পরিবেশও জীব-বৈচিত্রের। বিনষ্ট হচ্ছে বসত বাড়ি। নদী খনন না হওয়ার ফলে নদীর গতিপথ হারাচ্ছে।

৭-৮-৯ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্যা তাসকিনা বেগম জানান, নদী ভাঙন রোধে ব্যবস্থার নেয়ার জন্য ২০১৮ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ডে একটি আবেদন করা হয়েছিল। এই একান্ন ছোট যমুনা নদী গর্ভে আমার আবাদি জমিও বিলীন হয়ে গেছে।

কচুয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বসন্ত কুমার (৫০) ও বাবু চন্দ্র দাস (৪৫) বলেন, আমাদের ফসলি জমি, বাঁশ ঝাড়, বাড়ি এই নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। যদি নদী ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নেয়া হয় তাহলে আরও ফসলি জমি, বাড়ি-ঘর বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মনোবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র মানিক চন্দ্র দাস (২৮) বলেন, যে জায়গায় নদীটি বাঁকা রয়েছে ওই স্থানে ১০০/২০০ ফুটের মতো বাঁধ দিলে তাহলে এ ভাঙন থেকে আমরা রক্ষা পেতাম।

এ বিষয়ে সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কৃষ্ণ কমল চন্দ্র সরকার বলেন, নদী ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ‘খড়খরিয়া নদী ব্যবস্থাপনা’ নামে প্রকল্প পানি উন্নয়ন বোর্ডে জমা দেয়া হয়েছে। কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এটির অনুমোদন হলে সব সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

পিএনএস/এসআইআর


@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন