অন্তঃসত্বা নারীর খাদ্যনালী ছিদ্র করে ফেললেন নার্স!

  29-09-2020 11:39PM

পিএনএস ডেস্ক : পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর ডিএ্যান্ডসি (ডায়লেশন এ্যান্ড কিউরাটেজ) করতে গিয়ে খাদ্যনালী ছিদ্র করে ফেলেছেন এক নার্স। ভুক্তভোগীর নাম জাহানারা বেগম আর অভিযুক্ত নার্সের নাম শিরিন আক্তার । জাহানারা উপজেলার নওমালা ইউনিয়নের বটকাজল গ্রামের সোহেল হাওলাদারের স্ত্রী।

জীবন সংকটাপন্ন অবস্থায় ওই নারী বর্তমানে বরিশালের মোখলেছুর রহমান হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. মো. শাহ আলম তালুকদারের তত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে আজ মঙ্গলবার ওই নারীর স্বামী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জাহানারা বেগম সম্প্রতি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে গত ২২ সেপ্টেম্বর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরামর্শের জন্য আসেন। এ সময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স শিরীন আক্তার জাহানারাকে ডিএ্যান্ডসি করার পরামর্শ দিলে তিনি রাজি হন। একপর্যায়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোনো গাইনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ না নিয়েই নার্স শিরিন আক্তার নিজেই ডিএ্যান্ডসি করেন। ডিএ্যান্ডসি করার সময় জাহানারা বেগমের খাদ্যনালীর একাধিক অংশ ছিদ্র করে ফেলেন শিরিন আক্তার।

খাদ্যনালী ছিদ্র হওয়ার কারনে জাহানারা বেগমের প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় এবং মলমূত্র পেটের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। এরপর স্বজনরা জাহানারা বেগমকে মুমূর্ষ অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালের মোকলেছুর রহমান হাসপাতালে নিয়ে যান।

মোখলেছুর রহমান হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. শাহ আলম তালুকদার বলেন, ‘ডিএ্যান্ডসি করার সময় জাহানারা বেগমের খাদ্যনালীর নিচের একাধিক অংশ ছিদ্র হয়ে গেছে। তার অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন। মলমূত্র ত্যাগ করার জন্য তার পেটের বাইরে একটি ব্যাগ স্থাপন করা হয়েছে। আগামী ৩ মাস পর তাকে ফের অপারেশন করা হবে।’

ওই নারীর স্বামী সোহেল হাওলাদার জানান, চিকিৎসার জন্য জাহানারা বেগমের অনেক টাকা প্রয়োজন। ইতিমধ্যে ঋণ করে ৪০ হাজার টাকা চিকিৎসার জন্য খরচ করেছেন। এখন আর তার সামর্থ্য নেই। তিনি এ ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করেন।

পিএনএস-জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন