বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে ছোট ভাইয়ের প্রেমিকাকে গণধর্ষণ!

  16-10-2020 04:04PM




পিএনএস ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বিধবা এক নারীকে গণধর্ষণের রেশ কাটতে না কাটতেই (১৪) বছর বয়সী মাদ্রাসার এক ছাত্রীকে ফের গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতিতা স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাবা পেশায় একজন রিকশাচালক। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিন ব্যক্তিকে পুলিশ শুক্রবার নারায়ণগঞ্জের অদালতে পাঠিয়েছে।

গত শনিবার রাতে ব্রাহ্মন্দী সরকারি হাসপাতালের পেছনে পুকুরের পাড়ে জঙ্গলে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নির্যাতিতার মা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার রাতে একটি মামলা করেছেন।

অভিযুক্তরা হলেন, স্থানীয় ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ব্রাহ্মন্দী মধ্যপাড়া এলাকার মোতালিবের ছেলে টিউবওয়েল মিস্ত্রী নজরুল ইসলাম (২৫), তার বড় ভাই রিকশাচালক বাদল (৩৭) ও তাদের ফুফাতো ভাই একই এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে টিউবওয়েল মিস্ত্রী মুছা (২৪)।

এজাহারে বাদী উল্লেখ্য করেন, নির্যাতিতা ছাত্রী স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে। মাদ্রাসার হোস্টেলেই সে থাকতো। হঠাৎ করে হোস্টেলের পানির ট্যাংকে সমস্যা হলে সে গত শনিবার গোসল করতে বাড়িতে যায়। পরে আবার মাদ্রাসায় যথা সময়ে ফিরেও যায়। কিন্তু তিনি সন্ধ্যা ৭টার দিকে মাদ্রাসায় গিয়ে মেয়ের খোঁজ করলে দারোয়ান সামুছুন্নাহার জানায়, তার মেয়ে মাদ্রাসায় নেই। বাড়িতে ফিরে তার ব্যবহারের মোবাইলটি পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেয়া হয় এবং রিং হলেও কেউ তা রিসিভ করছিল না। পরে তাকে খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যাচ্ছিল না।

তিনি মামলায় আরও উল্লেখ করেন, বৃহস্পতিবার বিকালে স্থানীয় প্রভাকরদী এলাকা থেকে জৈনক মোবারক নামে এক ব্যক্তি ফোন করে মেয়ের অবস্থান জানায়। পরে তাকে বাড়িতে নিয়ে এসে তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রেমিক নজরুল ইসলাম ছদ্ম নাম (সাগর) পরিচয় দিয়ে তাকে এক মাস ধরে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাকে ফোনে ডেকে নিয়ে প্রলোভন দেখিয়ে ব্রাহ্মন্দী সরকারি হাসপাতালের পেছনে রবিন্দ্র বাবুর পুকুর পাড়ে তার মেয়েকে প্রথমে নজরুল ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। পরে তার বড় ভাই বাদল ও ফুফাতো ভাই মুছা নজরুলকে শাসিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাড়িয়ে দেয়। এক পর্যায়ে তার মেয়েকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার আশ্বাসে একই স্থানে জোরপূর্বক দু'জনই পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

মামলার বাদী আরও বলেন, সামাজিক লোকলজ্জার ভয়ে আমার মেয়ে বিভিন্ন এলাকায় লুকিয়ে ছিল। মেয়ের ওপর নির্যাতনের সঠিক বিচার চাই।

আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় নির্যাতিতার মায়ের পক্ষ থেকে একটি মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে অভিযুক্ত তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন