আত্মহত্যার আগেও নুরুন্নাহারকে ধর্ষণ করেছিল হাবিব

  27-10-2020 11:18PM

পিএনএস ডেস্ক : প্রেমিক হাবিবুর রহমান হাবিবকে গ্রেপ্তার করে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীর গৃহকর্মী নুরুন্নাহার বেগম (১৮) আত্মহত্যা রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। আসামি হাবিবুর মঙ্গলবার আদালতে স্বীকার করেছেন, নুরুন্নাহার বেগমের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে অবৈধ মেলামেশা করে আসছিলেন।

নুরুন্নাহার বেগম যেদিন আত্মহত্যা করেছিলেন, সেই দিনও হাবিব প্রেমিকার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছিল। তাদের দুজনের মোবাইল ফোনে কথা কাটাকাটি হলে নুরুন্নাহার ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেলের প্রধান উপ-পুলিশ কমিশনার জাকির হাসান জানান, টঙ্গী পূর্ব থানার মধ্য আরিচপুরের শেরে বাংলা সড়কের মো. মোশারাফ হোসেনের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতেন হবিগঞ্জের মাধবপুর থানার পিয়াইম এলাকার দ্বীন ইসলামের মেয়ে নুরুন্নাহার বেগম (১৮)। ওই বাসার পাশেই হোটেল বাবুর্চির কাজ করতেন একই থানার পুড়াইখলা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে হাবিবুর রহমান হাবিব (২২)। পাশাপাশি বাসা থাকায় তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

প্রেমের প্রায় ৫ মাস পর গৃহকর্মী নুরুন্নাহার বেগমের রুমে গত ৩ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১১ হতে ৪ জানুয়ারি সকাল ৯টার পূর্বে যেকোনো সময় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁসিতে আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

এ ঘটনায় নিহতের পিতা মো. দ্বীন ইসলাম বাদি হয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেন। ময়না তদন্ত রিপোর্টে নুরুন্নাহার বেগমকে মৃত্যুর আগে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে আলামত পায়। পরে পুলিশ তদন্ত করে ঘটনায় হাবিবের জড়িত থাকার প্রমাণ পায়। সোমবার রাতে প্রেমিক হাবিবুর রহমান হাবিব (২২)কে তার গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের মাধবপুর থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে

পিএনএস-জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন