৩২ বছর ধরে সাঁকোই তাদের ভরসা!

  26-11-2020 01:04PM

পিএনএস ডেস্ক: ১৯৮৮'র ভয়াবহ বন্যার পানির প্রবল তোড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয় জামালপুর দেওয়ানগঞ্জের চকপাড়া সেতু। এ ঘটনার ৩২ বছর পার হলেও সেতুটি নির্মাণে কোনো উদ্যোগ নেয়নি স্থানীয় প্রশাসন। ফলে বর্তমান অবদি এলাকাবাসীর যাতায়াত ব্যবস্থার একমাত্র মাধ্যম স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরি নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো।

সেতুটির অভাবে যাতায়াতে চরম ভোগান্তির শিকার দেওয়ানগঞ্জের হাতিভাঙ্গা ইউনিয়নের চকপাড়া, নয়াগ্রাম ও দক্ষিণ ভাতখাওয়া, মন্ডলপাড়া ও সরকারপাড়া পাঁচ গ্রামের হাজারো মানুষ। তবুও এ ব্যাপারে প্রশাসন বা জনপ্রতিনিধি কেউই এগিয়ে আসেননি।

সম্পর্কিত খবর
মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে শিক্ষা কর্মকর্তার মৃত্যু
আদালতের নথি চুরি, ফেনীতে একজনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড
৯ বছরে নির্যাতনের শিকার ৫৪৭ গৃহকর্মী
জামালপুর জেলা ত্রাণ ও পুণর্বাসন কর্মকর্তা নায়েব আলী জানান, বন্যায় যেসব ব্রিজ-কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলো পুণঃনির্মাণের তালিকা তৈরির জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো অনুমোদন হলে সেতুটি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

জানা গেছে, গ্রামগুলো দুর্গম এলাকা হওয়ায় চলাচলের বিকল্প ভালো কোনো সড়কও নেই। চকপাড়া-নয়াগ্রাম সড়কের চকপাড়া খালের উপর সেতুটি নির্মিত হয়েছিল আশির দশকে। নির্মাণের কয়েক বছর পরেই সেতুটি বন্যায় ভেসে যায়। সেই থেকেই গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে যাতায়াত করে আসছে। পাঁচ গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা এই বাঁশের সাঁকো। প্রতি বছর সাঁকোটি সঠিকভাবে মেরামত করতে না পারায় এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যাতায়াতের বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই রিকশা-ভ্যানে করে কৃষিপণ্য পরিবহনের পাশপাশি স্কুলের ক্ষুদে শিক্ষার্থীরাসহ প্রতিদিন হাজারো মানুষ যাতায়াত করছে এই সেতুটি দিয়ে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সেতুটা ভেঙে গেছে আজ ৩২ বছর। এখন এই পথে চলাচলে এলাকার মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই । শিশুদের স্কুলে আসতে যেতে ঝুঁকি নিয়ে এই বাঁশের সাঁকো পার হতে হয়। এছাড়া কৃষকদের বাঁশের সাঁকো দিয়ে ফসল নিয়ে যেতে খুবই সমস্যা হয়।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন