ডিমলায় বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে কর্মবিরতি

  26-11-2020 10:35PM

পিএনএস, ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি : নীলফামারী ডিমলায় নিয়োগ বিধি সংশোধন করে বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে কর্মবিরবি পালন করা হয়।

২৬ নভেম্বর সকাল ৮টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র সামনে সারা দেশের ন্যায় এ কর্মবিরতি পালন করা হয়। এতে অংশ নেন উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীগণ।

দাবি পূরণের প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মবিরতি অব্যহত থাকবে এমন ঘোষনা দেন বাংলাদেশ হেল্থ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন ডিমলা শাখা। তাদের এ কর্মবিরতির ফলে ২৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন কার্যক্রম সহ দেশের রুটিন টিকাদান কর্মসূচি বন্ধ হয়ে গেছে। সংগঠনটির নেতা কর্মীদের দাবি নিয়োগবিধি সংশোধন সহ ক্রমানুসারে স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের বেতন গ্রেড ১৪, ১৫ ও ১৬ তম গ্রেড থেকে যথাক্রমে ১১, ১২ ও ১৩ তম গ্রেডে উন্নতিকরণ করতে হবে। উক্ত অংশগ্রহণ কারীদের মধ্যে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের সমন্বয়কারী নুরুল হক এইচ আই (ইনচার্জ)।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের সদস্য সচিব নুর আলম, যুগ্ন সমন্বয়কারী রাকিবুল ইসলাম, সেরিনা আক্তার প্রমূখ।

এ সময় বক্তাগণ বলেন, ১৯৭০ এর দশক স্বাস্থ্য সহকারীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলে বসন্ত নির্মূল ও পলিও মুক্ত এবং ইপিআই কাজে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের রোল মডেল। এছাড়াও শিশু মৃত্যহার হ্রাস ও মাতৃ স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ঘটিয়ে এমডিজি লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হয়েছে। ম্যালেরিয়া নির্মূলের পথে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচীর (ইপিআই) আওতায় ১ লক্ষ ২০ হাজার আউটরিচ রুটিন টিকাদান কেন্দ্রের কর্মসূচী স্বাস্থ্য সহকারীগণ পালন করেন। যক্ষা, পোলিও, ধনুষ্টাঙ্কার, হুপিংকাশি, ডিপথেরিয়া, হেপাটাইটিস-বি, হিমোফাইলাস, ইনফ্লুয়েঞ্জা, নিউমোনিয়া ও হাম-রুবেলা টিকা প্রদান করে থাকেন। ২০১৩ সাল থেকে ৫ কোটি ২০ লাখ শিশুকে সফলতার সাথে হাম-রুবেলা টিকা প্রদান করে আসছেন। তাদের কাজের সফলতা স্বস্থ্য বিভাগকে এনে দিয়েছে সু-নাম, দেশকে দিয়েছে সাফল্য, মাননীয় প্রধান মন্ত্রীকে দিয়েছেন সম্মাননা। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী নন্দিত হওয়ার পাশাপাশি পেয়েছেন “সাউথ সাউথ” পুরুস্কার ভ’ষিত হয়েছেন ভ্যাক্সিন হিরো উপাধিতে। ভ্যাক্সিন হিরো শেখ হাসিনা স্বাস্থ্য সহকারী তাঁর মূল সেনা।

এছাড়াও তারা বলেন, প্রজাতন্ত্রের পদউন্নয়ন বিধি অনুযায়ী একজন সরকারী কর্মকর্তা বা কর্মচারী সাধারণত ৩ থেকে ৭ বছর পর পর তার পদউন্নয়ন পেয়ে থাকেন। পরিতাপের বিষয় তারা এমন সময় পদোন্নতি পান যখন তাদের চাকরীর বয়স বাকী থাকে মাত্র ৫ থেকে ৬ মাস। অনেকে পদোন্নতি না পেয়ে যোগদান কৃত পদে থেকেই অবসর গ্রহণ করেন। পদোন্নতি হলেও বেতন বারে না এক পয়সাও। উপরন্ত বদলি করা হয় অন্য জেলা বা উপজেলায়। সমযোগ্যতার অন্যান্য অধিদপ্তরের চাকুরীজীবিদের তুলনায় তারা বেতন বৈষম্যের স্বীকার। এছাড়াও অন্য অধিদপ্তরের অপেক্ষাকৃত নিচের গ্রেডের চাকুরীজীবিদের তাদের নিয়োগবিধি পরিবর্তন করে বর্তমানে উপরে চলে গেছে। যেমন ১৭ গ্রেডের প্রাথমিক শিক্ষক এখন ১৩ গ্রেডে, বিএস গণ ১১ গ্রেডে আর স্বাস্থ্য সহকারীগণ ১৬তম গ্রেডেই পড়ে আছেন।

প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্য সহকারীদের এক মহা সমাবেশে তাদের বেতনবৈষম্য নিরসন ও টেকনিক্যাল পদ মর্র্যাদর ঘোষনা দিয়ে দিয়ে ছিলেন। তা বাস্তবায়নের দাবিতে ২০ ফেব্রুয়ারী/২০২০ ইং তারা হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইনসহ ইপিআই বর্জন তৎকালীন স্বাস্থ্য মন্ত্রী, সচিব ও মহাপরিচালক দাবি মেনে নিয়ে লিখিত সমঝোতা পত্রে স্বাক্ষর করেন। যার মেয়াদ ছিল ৩০ জন ২০২০ ইং। তবে তা আজও বাস্তবায়ন হয় নাই মর্মে এসব প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চান।

পিএনএস/এসআইআর

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন