নোয়াখালীতে স্কুলছাত্র হত্যা, আটক ২

  27-11-2020 03:04PM

পিএনএস ডেস্ক: নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে নিখোঁজের একদিন পর শাহদাত হোসেন (১৬) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় অভিুযক্ত দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) দিবাগত রাতে নিহতের মা বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

আটকরা হলো- উপজেলা নাওতলা গ্রামের মাহবুবুর রহমানের ছেলে রিয়াদ উদ্দিন (২৪), সোনাইমুড়ী পৌরসভার সোনাইমুড়ী পূর্ব পাড়া গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে ইকবাল হোসেন যুবরাজ (২৬)।

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) দুপুর পৌনে ১টায় সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গিয়াস উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, নিহতের মায়ের মামলার আলোকে দুই জনকে আটক করা হয়েছে।

নিহত শাহদাত হোসেন (১৫) সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের কাঁঠালি গ্রামের কাদির মাষ্টার বাড়ির মীর হোসেনের ছেলে এবং সোনাইমুড়ী সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এর আগে, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় নিহতের ঘরের আঙিনায় একটি পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে বুধবার সকাল ৯টা থেকে সে নিখোঁজ ছিল।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, পৌরসভার কাঠাঁলী গ্রামের কাদির মাষ্টার বাড়ির মির হোসেনের ছেলে সাহাদাত হোসেনের মুঠোফোনে বুধবার সকাল ৯ টার দিকে কল দিয়ে ডেকে নিয়ে যায় একই বাড়ির জামালের ছেলে সুমন (২৮)। এর পর থেকে শাহাদকে খোঁজাখুঁজি করে পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘরের পিছনের পুকুরে ঝোপের মধ্যে সাহাদাতের পরিধানের কাপড় ভাসতে দেখে ছোট বোন মারিয়া তার মাকে জানান। পরে কাপড় ধরে টান দিলেই ভেসে ওঠে সাহাদাতের লাশ। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

নিহতের মা রোকসানা বেগম জানান, সুমন প্রায় সময় কোয়েম বহিরাগত ছেলেদের নিয়ে তার ঘরে মাদকসেবন করে আসছে। মঙ্গলবার রাতেও সে কয়েকজন বন্ধুদের নিয়ে ঘরে মাদক পার্টি দেয়। সুমনের খারাপ অভ্যাস জেনে ফেলেছে বলে সুমন তার ছেলেকে মেরে ফেলেছে।

এর আগে বুধবার ৯টার দিকে মুঠোফোনে কল দিয়ে সুমন ও তার বন্ধু পার্শ্ববর্তী নাওতলা গ্রামের রিয়াজ সাহাদাতকে নিয়ে যায়। তাকে না পেয়ে বিষয়টি স্থানীয় কাউন্সিলর হাফেজ আবু বকর সিদ্দিক দুলালকে জানালে সন্ধ্যায় সুমন কয়েক জন বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে বাড়িতে আসে। এসময় স্থানীয় লোকজন তাকে সাহাদাতের কথা জিজ্ঞেস করলে সে এবং তার বন্ধুরা স্থানীয়দের সাথে উত্তেজিত হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে নাওতলা গ্রামের তার বন্ধু তানভির লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে সুমনকে নিয়ে চলে যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, তানভির এলাকায় যুবলীগ নেতা পরিচয়ে বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।

ওসি গিয়াস উদ্দিন জানান, আটক আসামিদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন