আশুগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

  24-01-2021 07:16PM

পিএনএস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আশুগঞ্জে প্রতিপক্ষের হামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সির ভাই মো. জামাল মুন্সি (৫০) নিহতের ঘটনায় চরচারতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দিন খন্দকারসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

নিহত জামাল মুন্সি চরচারতলা মুন্সি বাড়ির হাজী ফজলুল হক মুন্সির ছেলে ও আশুগঞ্জ উপজেলাপরিষদ চেয়ারম্যান মো. হানিফ মুন্সির ছোট ভাই। শনিবার (২৩ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে নিহত জামাল মুন্সির বড় ভাই জাহাঙ্গীর মুন্সি বাদি হয়ে আশুগঞ্জ থানায় এই হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামিরা হলেন- আবু সহিদ, সেলিম মিয়া, জিয়াউদ্দিন খন্দকার, আবদু মিয়া, জাকির মিয়া, পলাশ মিয়া, শফিকুল ইসলাম, তাজুল ইসলাম, জিয়াউর রহমান, মো. আজিজ, রফিকুল খন্দকার, জুবায়ের ইসলাম, সাদ্দাম মিয়া, নাছিল মিয়া, দিলু মিয়া, মাসুদ মিয়া, মাহবুবুর রহমান, মনা মিয়া ওরফে রমজান, পাবেল মিয়া, কাউছার মিয়া, খোকন মিয়া, রনি মিয়া, মো. রাব্বি, বাদল মিয়া, সোহেল মিয়া, সুমন মিয়া ও ইকরান। তাদের সকলের বাড়ি চরচারতলা এলাকায়। এছাড়া আরও ২০/২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বলা হয়, শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার চরচারতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দিন খন্দকারের যোগসাজসে পরিকল্পিতভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সিকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার বাড়িতে হামলা করে বাড়ির প্রধান ফটকে ভাঙচুর করতে থাকে। এসময় মামলার বাদি জাহাঙ্গীর মুন্সি ও জামাল মুন্সি তাদের বাধা দিলে আবু সহিদ, সফিকুল ইসলাম, জাকির হোসেন ও মো. আজিজ নিহত জামাল মুন্সিকে ঝাপটে ধরে। এসময় পলাশ মিয়া তার হাতে থাকা বল্লম দিয়ে জামাল মুন্সিকে তার বুকে ঘাই মেরে রক্তাক্ত করে। অন্যান্য আসামিরা আরও কয়েকজনকে পিটিয়ে আহত করে। পরে জামাল মুন্সিকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ব্যাপারে নিহত জামাল মুন্সির ভাই ও মামলার বাদি জাহাঙ্গীর মুন্সি জানান, কোন কারণ ছাড়াই আমার ভাই উপজেলা চেয়ারম্যানকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে আবু শহিদ, সেলিম, আবদু, জিয়া খন্দকার, শফিক, দিলুর নেতৃত্বে তাদের লোকজন আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়। আমার ভাই জামাল মুন্সি তাদের হামলায় বাধা দিলে তাকে হত্যা করে হামলাকারীরা। আমি এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। এ ব্যাপারে চরচারতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জিয়াউদ্দিন খন্দকার জানান, পূর্ববিরোধকে কেন্দ্র করে একটি মিথ্যা মামলায় আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। এই ঘটনার সাথে আমি কোনভাবেই জড়িত নই। প্রশাসনের কাছে আমি এই মামলাটির সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাই।

আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদ মাহমুদ জানান, নিহত জামাল মুন্সির বড় ভাই জাহাঙ্গীর মুন্সি বাদি হয়ে ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ইতিমধ্যেই এজাহারে নামধারী ৫ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকিদের আটক করার জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।

পিএনএস/এসআইআর

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন