কনস্টেবলের ধর্ষণে স্কুলছাত্রীর মা হওয়ার অভিযোগ

  26-02-2021 03:11PM

পিএনএস ডেস্ক: পুলিশ কনস্টেবলের ধর্ষণে এক স্কুলছাত্রী মা হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের শিকার ফেনীর ফুলগাজীর একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী ১২ ফেব্রুয়ারি একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। কনস্টেবলের ধর্ষণ ও সন্তান জন্ম দেওয়ার ঘটনায় ফেনীর আদালতে অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন ওই স্কুলছাত্রী।

বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কামরুল হাসান তার স্কুলছাত্রীর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। অভিযুক্ত কনস্টেবল ওহিদুল আলম শাওন এর আগে ফুলগাজী থানায় কর্মরত থাকলেও বর্তমানে রাঙামাটিতে একটি ফাঁড়িতে কর্মরত।

আদালত সূত্র জানায়, পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে শাওন ফুলগাজী থানায় কর্মরত থাকাকালে এক বছর আগে ওই ছাত্রীর সাথে সম্পর্কে জড়ায়। তার গর্ভে সন্তান চলে আসে। বার বার শাওনকে বিয়ে করার চাপ দেয়া হলেও শাওন রাজি হয়নি। পারিবারিকভাবে চেষ্টা করেও ফল পাওয়া যায়নি। গত ১২ ফেব্রুয়ারি ওই ছাত্রী একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। বৃহস্পতিবার ছাত্রীটি ফুলগাজী থানায় মামলা দায়ের করেন। থানার উপপরিদর্শক রাশেদুল ইসলামকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়।

মামলার বিবরণে বলা হয়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রথমে ছাত্রীটির সাথে সখ্যতা ও একদিন ঘুরে বেড়ানোর কথা বলে ফেনী শহরের কোন একটি বাসায় নিয়ে ফলের জুসের সাথে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণ করা হয়। প্রায় তিন ঘন্টা পর জ্ঞান ফিরলে ছাত্রীটি যখন বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করে তখন তার অশ্লীল ভিডিও ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়ে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। এভাবে একাধিকবার ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে সে। বিষয়টি অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে জানালে সে নানা কৌশলে এড়িয়ে যেতে থাকে। মামলার এজাহার ও বৃহস্পতিবার বিকেলে হাকিমের সামনে এমন জবানবন্দি দেন ওই ছাত্রী। সন্ধ্যায় কোর্ট পরিদর্শক গোলাম জিলানী আদালতে ২২ ধারায় বয়ান দেবার কথা স্বীকার করেন।

ফুলগাজী থানার ওসি কুতুব উদ্দিন মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ বিষয়ে যথাযথ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন