৯৯৯-এ ফোন : ৬ ঘণ্টার মধ্যে অপহৃত উদ্ধার

  09-04-2021 09:46PM

পিএনএস ডেস্ক : জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে তথ্য দেওয়ার ছয় ঘণ্টার মধ্যে অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে বগুড়ার পুলিশ। অপহৃত ওই ব্যক্তির নাম আবু জামান খন্দকার ওরফে আরজু (৪৮)। তবে পালিয়ে যাওয়ায় এই ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

আজ শুক্রবার দুপুরের দিকে উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের খোর্দ্দ বগুড়া গ্রাম থেকে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আরজু উপজেলার সীমাবাড়ী ইউনিয়নের সদর হাঁসড়া গ্রামের বাসিন্দা ও একইগ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে। এ ঘটনায় বিকেল ৪টার দিকে আরজু নিজেই বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগে জানা যায়, সদর হাঁসড়া গ্রামের আবুল কালাম আজাদের পাঁচ বিঘা ফসলি জমির মাটি কাটছেন পাশের ভবানীপুর ইউনিয়নের মাটি-বালু ব্যবসায়ী জহুরুল হক। অসংখ্য ট্রাকে এসব মাটি পরিবহনের কারণে গ্রামের মানুষের চলাচলের সড়ক বেহাল হয়ে পড়ে। এতে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে বিষয়টি মোখিকভাবে অভিযোগ করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত অনুমান পৌনে ১১টার দিকে ওইসব ফসলি জমি থেকে মাটি কাটা শুরু করলে স্থানীয় এলাকাবাসী বাধা দেয়।

স্থানীয়দের বাধার মুখে একপর্যায়ে মাটি কাটা বন্ধ করে মাটি-বালু দস্যুরা চলে গেলেও গ্রামবাসী জামাল খন্দকার ওরফে আরজুকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। এমনকি বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে চরম বাকবিতণ্ডা হয়।

এর জের ধরে আজ শুক্রবার ভোররাতে স্থানীয় একটি ইটভাটায় যাওয়ার পথে জামাল খন্দকারকে অপহরণ করেন মাটি দস্যু জহুরুল হক ও তার লোকজন। সেই সঙ্গে বেধড়ক মারপিট করে তাকে খোর্দ্দ বগুড়া গ্রামের বসতবাড়ির একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। একই সঙ্গে অপহৃত ব্যক্তির পরিবারের কাছে মুক্তিপণ চাওয়া হয়।

এরপর ঘটনাটি জানতে পেরে গ্রাম্য মাতব্বর মুকুল হোসেন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে সব তথ্য দেন। এরপর অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধারে অভিযানে নামে পুলিশ। একপর্যায়ে অপহৃত হওয়ার ছয় ঘণ্টা পর তাকে উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার হওয়া ভুক্তভোগী জামাল খন্দকার আরজু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘তাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে অপহরণ করেছিল মাটিদস্যু জহুরুল বাহিনীর সদস্যরা। এজন্য তাকে বেধড়ক মারপিট করেছে। নানা কৌশলে মুক্তিপণ হিসেবে প্রায় ৬৫ হাজার টাকাও লুটে নেওয়া হয়েছে। এরপরও তাকে প্রাণনাশের পরিকল্পনা করা হয়।’ সময়মতো পুলিশ উপস্থিত না হলে তাকে মেয়ে লাশ গুম করা হতো বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

অভিযুক্ত জহরুল হক এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও সাজানো নাটক বলে মন্তব্য করেন। তবে ফসলি জমির মাটি কাটা নিয়ে জামাল খন্দকার ও গ্রামের কিছু লোকের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে বলে স্বীকার করেন।

শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম শহিদ অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে জানান, অভিযোগটি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পিএনএস-জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন