পিএনএস ডেস্ক: জামাল উদ্দিন (৪৫)। পেশায় তিনি রিকশাচালক। শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী হলেও ব্যাটারিচালিত রিকশা চালিয়ে সংসার চালাতেন তিনি। অভাবের কারণে কোনো রিকশা কিনতে পারেননি তিনি। গত কয়েকদিন আগে তার আগের রিকশা নিয়ে নেন মালিক। এরপর কয়েকদিন অন্যান্য কাজে যুক্ত ছিলেন। লকডাউনের পর সেসব কাজও বন্ধ হয়ে যায়। তবে যখন যে কাজ পায় তা করে তিনি সংসার চালায়।
দুই মাস আগে তার এক মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। আবার আসন্ন রমজান উপলক্ষে নতুন বিবাহিত মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে ইফতারিও পাঠাতে হবে। এছাড়া যৌতুক নিয়ে মেয়ের শশুরবাড়ির লোকজনের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। এক পর্যায়ে পরিবারের মধ্যে অশান্তি নেমে আসে। তারই জের ধরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
শনিবার (১০ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ড থানার ওসি (তদন্ত) সুমন বণিক।
সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সিনার্জি বাগানে একটি ভাড়া বাসা থেকে জামাল উদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার বাড়ি ভোলার মনপুরা উপজেলার গোয়ালিয়া গ্রামে।
সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, শনিবার সকালে ভাটিয়ারী এলাকায় এক রিকশাচালকের আত্মহত্যার খবর পেয়ে দ্রুত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আশপাশের লোকেরা অর্থকষ্ট ও কাজের অভাব থেকে ওই রিকশাচালক আত্মহত্যা করেন বলে দাবি করেছেন।
পিএনএস/এএ
চট্টগ্রামে অভাবের তাড়নায় প্রতিবন্ধী রিকশাচালকের আত্মহত্যা
11-04-2021 01:47AM