পিএনএস, মুন্সিগঞ্জ : পদ্মায় নাব্যতা সংকটের কারণে শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটে যে কোন মুহুর্তে ফেরি চলাচল বন্ধ হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। নাব্যতা সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করায় নৌ-চ্যানেলের লৌহজং টার্নিংয়ে চলছে ড্রেজিং। বিআইডব্লিউটিএ’র পৃথক ৭টি ড্রেজারের মাধ্যমে নাব্যতা সংকট নিরসনে পদ্মার পলি অপসারণের কাজ চলছে।
উজানের সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে পলি এসে জমে পদ্মায় এ নাব্যতা সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতি বছর বর্ষার মৌসুমের শেষ দিকে নৌরুটে নাব্যতা সংকট দেখা দেয়। তবে চলতি বছর প্রকট আকারে রুপ নিয়েছে নাব্যতা সংকট।
গত ৬ দিন ধরে রো-রো ফেরিগুলো বন্ধ রয়েছে। তবে নৌরুটে সচল থাকা ১১টি ফেরির সবগুলো যাত্রীসহ যানবাহন বোঝাই কম করছে। কেননা লৌহজং টার্নিংয়ে নাব্যতা সংকটের কবলে ফেরিগুলো ডুবোচরে আটকে যাচ্ছে।
এদিকে, পদ্মা পানি কমতে শুরু করেছে। কাজেই নাব্যতা সংকট অচিরেই দুর না হলে যেকোনো সময়ে নৌরুটে সবগুলো ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
বিআইডব্লিউটিসি’র ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) গিয়াসউদ্দিন পাটোয়ারী বলেন- নৌ-চ্যানেলের লৌহজং টার্নিংয়ে এখন পানি বইছে মাত্র ৬ ফুট উপড় দিয়ে। স্বাভাবিক ফেরি চলাচল করতে হলে কমপক্ষে ৭ ফুট উচ্চতায় পানি প্রবাহের দরকার।
রো-রো ফেরি শাহ-আলীর মাষ্টার এবিএম ফারুক বলেন- নাব্যতা সংকটের মুখে আমরা ফেরি চালাতে পারছি না। ফেরির তলা আটকে যাচ্ছে নদীর তলদেশে। সঠিক ভাবে ড্রেজিং না করলে চলাচল করা সম্ভব নয়।
বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজিং বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিউল্লাহ বলেন, সঠিক সময়ে ড্রেজিং করতে পারলে এরই মধ্যে নাব্যতা সংকট নিরসন হত। কিন্তু উজানের পানি, বন্যা ও তীব্র স্রোতে আমাদের ড্রেজারগুলোকে সঠিকভাবে কাজ করতে দিচ্ছে না।
এরই মধ্যে বেশ কয়েকবার ড্রেজার গুলোর দড়ি ছিড়ে গেছে। আর দুই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে হঠাৎ করেই চ্যানেলের মুখে ডুবোচর দেখা দেয়। সঠিক ভাবে ড্রেজিং কাজ শেষ করতে পারলে আর কয়েকদিনের মধ্যেই নাব্যতা সংকট দুর করা যাবে।
এদিকে, ফেরি চলাচলে অচলাবস্থার মুখে শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় প্রতিদিনই কয়েকশ’ যানবাহন পারাপারের অপেক্ষমাণ থাকে। এর মধ্যে পণ্যবোঝাই ট্রাকের সংখ্যাই বেশি।
পিএনএস/আনোয়ার
পদ্মায় নাব্যতা সংকটে ফেরি বন্ধের আশংকা
26-08-2016 12:09PM