মেয়েকে দিয়ে ঋণশোধ পাকিস্তানে

  24-12-2016 06:02PM


পিএনএস: মাত্র একরাতের মধ্যে গোটা জীবনটাই বদলে গেছিল জীবতির। জোর করে তাকে বিয়ে দেয়া হয়েছিল এক প্রৌঢ়ের সঙ্গে।

জীবতির ‘অপরাধ’ ওই প্রৌঢ়ের কাছ থেকে পাকিস্তানি মুদ্রায় ১ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। তাছাড়া জীবতির আর এক ‘অপরাধ’, বাড়ির মেয়েদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সুন্দরী সে-ই। শুধু জীবতি নয়, তার মতো এমন নির্যাতনের শিকার দক্ষিণ পাকিস্তানের বহু মেয়েই। বাবা ঋণ শোধ করতে না পারলে বাড়ির সবচেয়ে সুন্দরী মেয়েকে বাধ্য করা হচ্ছে ঋণদাতাকে বিয়ে করার জন্য। জমি বা বাড়ির মতো ঘরের নারীদেরও গণ্য করা হচ্ছে সম্পত্তি হিসাবে।

জীবতির মা আমেরি বলছেন, ‘‌বাড়ির পুরুষদের সিদ্ধান্ত শেষ কথা। কেন আমার মেয়েকে জোর করে বিয়ে দেয়া হবে, তাও আবার এমন একজনের সঙ্গে, যার সঙ্গে আমার মেয়ের বয়সের ব্যবধান অনেকটাই। আমি অভিযোগ জানিয়ে পুলিশের কাছেও গেছি। কিন্তু পুলিশ আমার কথা কর্ণপাত করেনি। ’‌ একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হিসাবে এইভাবে জোর করে ২০০০-‌এর বেশি মেয়েকে বিয়ে দেয়া হয়েছে। এদের অধিকার রক্ষার জন্য কাজ করছে দক্ষিণ পাকিস্তানের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘‌গ্রিন রুরাল’‌। তাদের কর্মী গুলাম হায়দার বলছেন, ‘‌পাকিস্তানের সংবিধান কখনোই এই ধরনের জবরদস্তিকে অনুমোদন দেয় না। এটা অসাংবিধানিক এবং বেআইনি। ’


পিএনএস/বাকিবিল্লাহ্

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন