পেটিকোট হতে পারে মৃত্যুর কারণ!

  23-02-2017 11:27AM

পিএনএস ডেস্ক:দীর্ঘদিন ধরে আঁটোসাঁটো করে পেটিকোট (সায়া) পরার অভ্যাস থাকলে সাবধান। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বহু বছর ধরে খুব শক্ত করে সায়ার দড়ি বাঁধলে হতে পারে প্রাণঘাতী ক্যান্সার। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, উপমহাদেশের অনেক নারীদের তলপেট ও পেটের উপরিভাগে ত্বকের ক্যান্সারের প্রবণতা বাড়ছে।

চিকিৎসকদের মতে, দীর্ঘদিন ধরে সায়ার দড়ি খুব শক্ত করে বাঁধার ফলে ত্বকে চুলকানি ও ক্ষত তৈরি হয়। বহুদিন ধরে তা উপেক্ষা করার ফলে শেষ পর্যন্ত মারাত্মক ত্বকের ক্যান্সার দেখা দেয়। উপসর্গটিকে ‘শাড়ি ক্যান্সার’ নামে চিহ্নিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। সমীক্ষায় এমন দৃষ্টান্ত পাওয়া গেছে মাত্র তিনটি। কিন্তু ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ভারত ও বাংলাদেশের অসংখ্য নারী এই রোগের শিকার হচ্ছেন।

মুম্বাইয়ের গ্র্যান্ট মেডিক্যাল কলেজের সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর জি ডি বকশির মতে, ‘শাড়ির নিচে পরা পেটিকোটের দড়ি দীর্ঘদিন ধরে শরীরের একই জায়গায় পরার ফলে দড়ির ঘষা লেগে ত্বকে চুলকানি তৈরি হয়। শরীরের এই অস্বস্তি উপেক্ষা করলে এর পর ওই জায়গায় ত্বকের চরিত্রে পরিবর্তন ঘটে। খসখসে হয়ে শুকনো চামড়া উঠতে শুরু করে এবং ত্বকের রংও পাল্টে যায়। নারীদের কোমরের আশপাশে ত্বকে এমন প্রদাহ সৃষ্টি হলে অনেক সময় তা মারাত্মক ক্যান্সারে পরিবর্তিত হয়।’

তিনি বলেন, ‘বেশির ভাগ নারীদের কোমরের উপর শাড়ির দড়ি থেকে কালচে দাগ ও ত্বক ফেটে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা যায়। বিষয়টি স্বাভাবিক বলে ধরে নেওয়ার চল আছে।’

ডক্টর বকশির মতে, সময় মতো গুরুত্ব না দেওয়ার ফলেই ক্রমে ক্যান্সারের শিকার হন নারীরা। কিভাবে এই বিপদ এড়ানো যায়? ডক্টর বকশি জানিয়েছেন, ‘নিয়মিত সায়ার দড়ি পাল্টে এবং তাকে চওড়া করে পরলে সমস্যা এড়ানো সম্ভব। এছাড়া দড়ি বাঁধলে তা একটু ঢিলেঢালা রাখা উচিত।’

তবে তার মতে, ‘রাতারাতি এমন বিপদ ঘটে না। সমীক্ষায় আমরা দেখেছি, যে সব নারীরা নাগাড়ে ৩০ বছরের উপর সায়া পরছেন, এবং গত ৫ বছর ধরে ত্বকের ওই অংশে চুলকানি অনুভব করছেন, তাদের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।’


পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন