নাকফুল

  08-11-2017 11:44PM

পিএনএস ডেস্ক: নারীর গয়না হিসেবে নাকফুলের প্রচলন সবচেয়ে প্রাচীন। আগে শুধু সোনা বা রুপার নাকফুল পরা হলেও বর্তমানে ফ্যাশন অনুষঙ্গ হিসেবে মেয়েদের কাছে হীরার নাকফুল এ জায়গার অনেকটা দখল করে নিয়েছে। নাকফুলের আকার এবং মেটালের ওপর নির্ভর করে এর দাম নির্ধারণ করা হয়। যেমন শুধু সোনার নাকফুল ১৫০০ টাকা থেকে শুরু হয়। চাইলে রেডিমেট কিনে নিতে পারেন অথবা অর্ডার দিয়ে পছন্দের ডিজাইনের নাকফুল বানিয়েও নিতে পারেন।

নাকে ফ্যাশনেবল নাকফুল পরতে চাইলে নাক ফোঁড়ানো ভালো। তবে অনেকেই না ফুঁড়িয়েও টিপ নাকফুল পরেন। পাথরের টিপও ব্যবহার করেন অনেকে। ভালো বিউটি পারলার থেকে নাক ফুঁড়িয়ে নিতে পারেন। নাক ফোঁড়ানোর পর প্রথমে সোনার নাকফুল পরলে সংক্রমণের ভয় থাকে না। ক্ষত শুকিয়ে গেলে পছন্দমতো যেকোনো নাকফুল পরতে পারেন। নাক ফোঁড়াতে খরচ হয় ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা।

মুখ ছোট হলে ছোট নাকফুল ভালো মানায়। আর লম্বা নাক ও বড় মুখের সঙ্গে বড় নাকফুল পরা ভালো। সব সময় ব্যবহারের জন্য নাকে এক পাথর বা হিরের ছোট নাকফুল ব্যবহার করতে পারেন। অল্প বয়সীরা চাপা নথ ও ব্যবহার করতে পারে। অনুষ্ঠানে পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে একটু জমকালো বড় নাকফুলও পরা যায়

শাড়ি, কামিজ, ফতুয়া এমনকি টিশার্টের সঙ্গেও নাকফুল পরতে পারেন। নাকফুল নারী সৌন্দর্য অনেক বাড়িয়ে দেয়। অনেকেই ব্যথার ভয়ে নাক ফোঁড়াতে চান না, তারাও ইচ্ছা করলে টিপ নাকফুল পরতে পারেন। সে ক্ষেত্রে দামি নাকফুল পরলে সচেতন থাকতে হবে যেন হারিয়ে না যায়।

রুবি, পান্না, চুনি, নীলা, জিরকন প্রভৃতি পাথর বসানো সোনার নাকফুল পাবেন ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকায়। সোনার ওপর মুক্তা বসানো নাকফুল ৭০০ থেকে ১৩০০ টাকা, শুধু সোনার নাকফুল ডিজাইন ও ওজনভেদে ৬০০ থেকে ১৫০০ টাকা। বিভিন্ন ডিজাইনের হিরের নাকফুল হিরের আকৃতিভেদে ৪ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

রুপার নাকফুলের দাম কিছুটা কম। রুপার ওপর সোনার প্রলেপ দেওয়া নাকফুল পাবেন ২০০ থেকে ৬০০ টাকায়। রুপার ওপর মুক্তা বসানো নাকফুল ৩০০ থেকে ৮০০ টাকা। সোনার দোকান ছাড়াও বিভিন্ন শপিং মলের প্রসাধনীর দোকানে পাবেন ইমিটেশনের এক পাথরের ছোট-বড় বিভিন্ন আকৃতির নাকফুল। দাম ৫০ থেকে ১৫০ টাকা।

সোনা ও হিরের নাকফুল পাবেন ঢাকার বায়তুল মোকাররম, বসুন্ধরা সিটি শপিং মল, কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি, ইস্টার্ন প্লাজা, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড, আড়ং বা যে কোনো গয়নার দোকানে। ইমিটেশন নাকফুল পাবেন ঢাকার নিউমার্কেট, চকবাজার, চাঁদনি চক ও গাউছিয়ায়।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন