পিএনএস ডেস্ক: পুকুরে ইলিশ চাষের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর এবার ‘অন বোট ব্লিডিং’ পদ্ধতিতে পোনা উৎপাদনের চেষ্টা চলছে। এমভি রূপালী ইলিশ নামের এই জাহাজেই গড়ে তোলা হয়েছে হ্যাচারি। ইলিশের কৃত্রিম প্রজননে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট।
মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট বলছে, প্রজনন মৌসুমে সাগরে থাকা জাহাজে মিনি হ্যাচারি তৈরি করে কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছে। এ পদ্ধতি সফল হলে নদীতে ছাড়া যাবে ইলিশের পোনা। এতে বাড়বে উৎপাদন।
অন বোট ব্লিডিং পদ্ধতি সম্পর্কে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট বলছে, প্রজনন অঞ্চল বাছাই করে জীবিত পুরুষ ও স্ত্রী ইলিশ ধরে জাহাজের হ্যাচারিতে রাখা হচ্ছে। হরমোন ইনজেকশন দিয়ে স্ট্রিপিংয়ের মাধ্যমে অথবা স্বাভাবিক উপায়ে পরিপক্ক করে পুরুষ ইলিশ থেকে স্পার্ম বের করে ট্রায়াল দিচ্ছে।
এরই মধ্যে ফার্টিলাইজেশন (নিষিক্তিকরণ) হয়েছে। সাধারণত ফার্টিলাইজেশনের পর ১৬টি ধাপ পার হলে ইলিশের পোনা নদীতে ছাড়ার উপযোগী হয়। কিন্তু নবম ধাপ পর্যন্ত আসার পর আর তাদের টিকিয়ে রাখতে পারছি না। পোনাগুলো মারা যাচ্ছে। আমাদের আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। এ পদ্ধতির সফলতা নিয়ে আমি আশাবাদী।
অন বোট ব্লিডিং পদ্ধতির বিষয়ে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ইয়াহিয়া মাহমুদ বলেন, ইলিশের কৃত্রিম প্রজনন খুবই স্পর্শকাতর। ইলিশের প্রজনন রুই-কাতল কিংবা অন্য মাছের মতো নয়। আমরা অনেকবার চেষ্টা করেছি, কিন্তু সফল হতে পারিনি।
তিনি আরও বলেন, ইলিশের আসল স্বাদ-গন্ধ রেখে কৃত্রিম প্রজনন একটু কঠিন। তার পরও আমরা চেষ্টা করছি। সর্বশেষ কৃত্রিম প্রজননের জন্য অন বোট ব্লিডিং পদ্ধতি ব্যবহার করছি। জাহাজের মধ্যেই মিনি হ্যাচারি তৈরি করে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে প্রজনন মৌসুমে সাগর অথবা নদী থেকে পুরুষ ও স্ত্রী ইলিশ রাখছি। সব ধাপ অতিক্রম করে পোনা নদীতে ছাড়া গেলে, তখন উৎপাদন আরও বাড়বে।
পিএনএস/এএ
পুকুরে ইলিশ চাষে ব্যর্থ, এবার চেষ্টা জাহাজে
05-09-2021 01:57PM