চৈত্রের বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত ৫ হাজারের বেশি কৃষক

  08-04-2022 04:01PM

পিএনএস ডেস্ক : চলতি মৌসুমে চৈত্রের তৃতীয় সপ্তাহে লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে ১২০ হেক্টর জমির ফসল। এতে অন্য ফসলের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শাক-সবজির আবাদ। উত্তরের এই দুই জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, চৈত্র মাসে এমন নজিরবিহীন বৃষ্টিতে ক্ষতির শিকার হয়েছেন পাঁচ হাজারের বেশি কৃষক।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার আইরখামার এলাকার কৃষক আব্দুল হামিদ (৬৩) চলতি মৌসুমে ১৮ হাজার টাকা খরচ করে এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজ লাগিয়েছিলেন। আশা ছিল, এবার অন্তত ৫০-৫৫ মন পেঁয়াজ তিনি ঘরে তুলতে পারবেন। কিন্তু অসময়ের বৃষ্টিতে তার খেতের পেঁয়াজ পুরোটাই তলিয়ে গেছে।

সম্প্রতি এই কৃষককে দেখা যায়, তিনি তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ও ছেলে মাইদুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে ডুবে যাওয়া খেত থেকে অপরিপক্ক পেঁয়াজ তুলছেন। তার কাছ থেকে জানা যায়, গত বছর একই জমি থেকে ৪৫ মন পেঁয়াজ পেয়েছিলেন তিনি। প্রতি মন ১২০০ টাকা দরে ৫৪ হাজার টাকায় তা বিক্রি করেছিলেন।

হতাশ কণ্ঠে আব্দুল হামিদ বলেন, ‘চৈত্র মাসে এমন বৃষ্টি কখনো দেখিনি। খেতের সব পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে। আমি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।’

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা গ্রামের আরেক কৃষক সুবল চন্দ্র বর্মণ (৬৫) এবার ৬০ শতাংশ জমিতে বিভিন্ন পদের শাক লাগিয়েছিলেন। এতে তার খরচ হয়েছিল ২০ হাজার টাকার মতো। কিন্তু অতিবৃষ্টিতে আব্দুল হামিদের মতো তার খেতের সব শাকও নষ্ট হয়ে গেছে।

সুবলের ভাষ্য, চৈত্র মাসে কৃষকের শরীর থেকে তারা ঘাম ঝরা দেখতে অভ্যস্ত। কিন্তু এবারের চৈত্রে বর্ষাকালের মতোই বৃষ্টি ঝরেছে।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ সবুর হোসেন জানান, এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে এই জেলায় দৈনিক গড়ে ১৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত বছর এ সময়ে গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল পাঁচ মিলিমিটার।

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামীম আশরাফ জানান, অসময়ের বৃষ্টিতে পানিতে নিমজ্জিত ফসলের মধ্যে রয়েছে বোরো ধান, কাউন, পাটসহ বিভিন্ন শাক-সবজি।

পিএনএস/এমবিবি

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন