আউশ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের

  12-06-2022 11:29PM

পিএনএস, পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি: খুলনার পাইকগাছায় আউশ ধান চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। কৃষকরা এখন আউশের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছে। তবে ধান গাছ থেকে গো-খাদ্য বিচুলীর চাহিদা থাকায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছে বেশি। ধানের ভাল ফলন ও উচ্চ মূল্য পাওয়ায় কৃষকরা আউশের আবাদে আগ্রহী হয়েছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টি ইউনিয়ন হরিঢালী, কপিলমুনি, গদাইপুর, রাড়ুলী ও পৌরসভায় ১শ ১৫ হেক্টর জমিতে আউশের আবাদ হচ্ছে। এর মধ্যে ১০৫ হেক্টর উপশি ও ৫ হেক্টর হাইব্রিড। বোয়ালিয়া সরকারী বীজ উৎপাদন খামারে ১২ একর জমিতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা। আউশের ১টি জাত ব্রিধান-৪৮ লাগানো হচ্ছে। খামারের পরিচালক চারা সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন। খামারটি উপকূলের প্রতিকূল পরিবেশে অবস্থিত। লবণাক্ত এলাকায় হওয়ায় আবাদে অধিক পরিচর্যা করতে হয়। উপজেলায় প্রায় ৭৫ ভাগ ক্ষেতে চারা রোপণ সম্পন্ন হয়েছে।

হিতামপুর ব্লকের চাষী জামাল সরদার জানান, তিনি আড়াই বিঘা জমিতে আউশের আবাদ করেছেন। বৃষ্টি তেমন না হওয়ায় সেচ দিয়ে চারা রোপণ সম্পন্ন করেছেন। প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে আউশ ধান থেকে ভালো ফলনের আশা করছেন তিনি।

খামারের সিনিয়র সহকারী পরিচালক কৃষিবিদ মো. হারুন জানান, তীব্র গরম ও অনাবৃষ্টির মধ্যে সেচ দিয়ে ধানের চারা রোপণ চলছে। এর মধ্যে প্রায় ১০ একর জমিতে চারা রোপণ কাজ শেষ হয়েছে। কপোতাক্ষ নদের পাশে ও লবণাক্ত এলাকায় হওয়ায় আবাদে অধিক পরিচর্যা করতে হয়। এ খামারের আবাদ কিছুটা প্রকৃতির উপর নির্ভর করে। তাছাড়া পাশের ইট ভাটার ধোঁয়া ও ছাই উড়ে পড়ায় খামারের ধানের ক্ষতি হচ্ছে। প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে খামারে বীজ তৈরীর লক্ষমাত্রা অর্জিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, স্বল্প পরিমাণে কিটনাশক, অল্প সেচ ও পশ্রিমে আউশ ধান উৎপাদন করা সম্ভব। তাই আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আউশ থেকে কৃষকরা বিচুলী ও ধানের ভাল মূল্য পাবেন।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন