কানাডায় বাংলাদেশি পণ্যের নতুন বাজার

  18-12-2020 10:52PM

পিএনএস ডেস্ক : কানাডায় প্রচলিত পণ্যের বাইরে বাংলাদেশের জন্য ১০০ মিলিয়ন ডলারের চেয়েও বড় একটি বাজার তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ চাইলেই এ বাজার পুরোটাই দখল করতে পারে। তার জন্য বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সরকারের নীতিগত সহায়তা বাড়াতে হবে।

কানাডায় কর্মরত বাংলাদেশি-কানাডিয়ান অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা নতুন এ বাজারের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী এবং সরকারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

কানাডার বাংলা পত্রিকা ‘নতুন দেশ’-এর প্রধান সম্পাদক শওগাত আলী সাগরের সঞ্চালনায় টরন্টো সময় বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত ‘শওগাত আলী সাগর লাইভে’ তারা এ মতামত প্রকাশ করেন।

সরাসরি সম্প্রচারিত এ আলোচনায় অংশ নেন- আলবার্টার এডমন্টন ম্যাকইউয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রাফাত আলম, কানাডার মূলধারার বড় স্টোরগুলোতে বাংলাদেশি পণ্যের সরবরাহকারী শেখ সাদ আলম এবং নতুন প্রজন্মের উদ্যোক্তা রাফি সাইয়িদ।

কানাডার লব ল মেট্রো, নো ফ্রিলের মতো বড় স্টোরগুলোতে বাংলাদেশি হিমায়িত এবং প্রক্রিয়াজাতকৃত পণ্যকে পরিচিত করে তোলা ব্যবসায়ী শেখ সাদ আলম আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, অভিবাসীর দেশ কানাডায় দক্ষিণ এশিয়ার অভিবাসী বাড়ছে। একই সঙ্গে মুসলিম দেশগুলো থেকেও রাজনৈতিক আশ্রয় এবং অভিবাসন নিয়ে কানাডায় আসা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। ফলে কানাডার মূলধারার স্টোরগুলো হালাল খাদ্য এবং দক্ষিণ এশিয় প্রক্রিয়াজাতকৃত খাদসামগ্রীর চাহিদার দিকে ঝুঁকে পড়ছে।

শেখ সাদ আলম বলেন, তিনি এখন কানাডার মূলধারার স্টোরগুলোতে এ ধরনের পণ্য সরবরাহ করছেন। কিন্তু চাহিদামতো পণ্যের জোগান দিতে হলে আরও মানুষের সম্পৃক্ত হওয়া দরকার।

অর্থনীতিবিদ ড. রাফাত আলম বলেন,বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই অ্যাথনিক ডায়াস্পোরার হাত ধরে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন পণ্যের বাজার তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের বড় বড় কোম্পানিগুলোও বিভিন্ন দেশে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ওপর ভিত্তি করেই তাদের পণ্য সামগ্রী সরবরাহ করেছে।
তিনি বলেন, কানাডার জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশই ভিজিবল মাইনরিটি। তাদের প্রায় সবারই পছন্দের শীর্ষে প্রক্রিয়াজাত বা হিমায়িত খাদ্যসামগ্রী। কানাডায় বাংলাদেশি অপ্রচলিত পণ্যের বাজার তৈরি হলে প্রতিবেশী যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও এখান থেকে পণ্য যাবে।

তরুন উদ্যোক্তা রাফি সাইয়িদ বলেন, কানাডায় বসবাসরত বিভিন্ন সম্প্রদায়, তরুণরাও বাংলাদেশি ব্যাপারে আগ্রহী হচ্ছে। কানাডার মূলধারায় বাংলাদেশি পণ্যকে জনপ্রিয় করে তোলার জন্য নিজের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে তরুণ এই উদ্যোক্তা বলেন, গুণগতমান এবং উৎকর্ষতা নিশ্চিত করেই আমরা কানাডার বাজারে বিভিন্ন ধরনের পণ্য সরবরাহ করছি। ফলে সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশি পণ্যসামগ্রীর ব্যাপারে কানাডিয়ানদের আগ্রহ বাড়ছে।

নতুন দেশ-এর প্রধান সম্পাদক শওগাত আলী সাগর বলেন, কানাডার বাইরে আমেরিকা, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ- যেখানেই বাংলাদেশিদের বসবাস, সেখানেই এ ধরনের অপ্রচলিত পণ্যের বাজার বিস্তৃতি পেতে পারে। এ ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়ার জন্য তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, তৈরি পোশাকসহ বড় ধরনের পণ্য বরাবরই সরকারের কাছ থেকে বড় ধরনের সহায়তা পেয়েছে। এখন অপ্রচলিত ভোগ্যপণ্যের দিকেও নজর দেয়া দরকার।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন