স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অস্বাস্থ্যকর টেন্ডার বাণিজ্যঃ ৫ গুণ বেশী দামে নিম্নমানের যন্ত্রপাতি কিনেছে ইডিসিএলঃ পর্ব-৩

  31-08-2019 05:08PM

পিএনএস (মোঃ শাহাবুদ্দিন শিকদার) : স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন অধিদপ্তর এবং পরিদপ্তরে টেন্ডার বাণিজ্য থামছেই না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ই-জিপি টেন্ডারের নীতি এখানে মার খাচ্ছে। সিপিটিইউ-এর নীতিমালার প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনেক প্রতিষ্ঠানের ভ্রুক্ষেপ নেই। বিশেষ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ইডিসিএল এখন দুর্নীতির ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। অবস্থা দেখে মনে হয়, ইডিসিএল-এর টেন্ডার বাণিজ্য তথা দুর্নীতি থামানোর কেউ নেই। জনশ্রুতি আছে, ইডিসিএল-এর বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রফেসর ডাক্তার এহসানুল কবির দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটের গ্যাড়াকলে আটকে পড়েছেন। ইডিসিএল-এর দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেট এতোটাই শক্তিশালী যে, তাদের মতামত অনুযায়ীই প্রফেসর এহসানুল কবিরকে সব অবৈধ কাজে শরীক হতে হয়।

অভিযোগকারীদের মতে, গোপালগঞ্জে ইডিসিএল-এর কেনাকাটায় পুকুর চুরি নয় রীতিমত সাগর চুরি হয়েছে। গোপালগঞ্জের আন্তর্জাতিক টেন্ডার নং-পিডি-গোপালগঞ্জ/আইসিটি/পিএমই/২০১৬/২৪ খতিয়ে দেখলে এর প্রমাণ মিলবে। অভিযোগকারীরা জানান, দরপত্রের স্পেসিফিকেশানে ইতালীর একটি ব্রান্ডের কথা উল্লেখ থাকলেও ব্লিস্টার মেশিন কমপ্লিট লাইন- ৪টি CAM আমদানি করা হয় চায়না থেকে। অভিযোগকারীদের মতে, মেশিনগুলোর প্রকৃত দাম ৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকা হলেও ৫ গুণ বেশী দেখিয়ে চায়না থেকে আমদানি করা হয়েছে। ইতালীর মেশিন চায়না থেকে এনে কোটি কোটি টাকা লোপাট করা হলেও ইডিসিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক চোখ কাণ নাড়েননি। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, এই মেশিনগুলোর পিএসআই বা FAT পরীক্ষার জন্য ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রফেসর ডাঃ এহসানুল কবীরের নেতৃত্বে প্রজেক্ট ম্যানেজার বি,এম, ইমাম হাসান, ডেপুটি প্রজেক্ট ম্যানেজার মনোরঞ্জন সরকার ও মোঃ শাহাবুদ্দিন ইতালী সফর করে এসেছেন। তাহলে মেশিন চায়না থেকে আমদানি করা হলো কিভাবে? আমদানিকৃত এই মেশিনগুলোর মানও খুব খারাপ। অথচ গোপালগঞ্জ প্রকল্পটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প। এখানে দুর্নীতি করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নকে ধুলিস্যাৎ করা হয়েছে।

অভিজ্ঞমহল মনে করেন, ইডিসিএল-এর দুর্নীতি থামাতে জরুরী ভিত্তিতে তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, দুদক, এনএসআই এবং ডিজিএমআই-এর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। (চলবে)।

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন