বেনাপোল বন্দরে ৫ ঘণ্টা বন্ধ আমদানি-রফতানি

  22-06-2021 07:02PM

পিএনএস ডেস্ক : করোনার সংক্রমণ রোধে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পাথর আমদানি বন্ধ করায় প্রতিবাদ জানিয়ে ৫ ঘণ্টা আমদানি-রফতানি বন্ধ রেখেছিলেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।

মঙ্গলবার (২২ জুন) ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের ব্যবসায়ী সংগঠন ধর্মঘট ডেকে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করে। এতে বন্ধ হয়ে যায় বেনাপোল বন্দরের সাথে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের আমদানি-রফতানি বাণিজ্য। পরে দুপুর ২টায় বাণিজ্য সচল হয়।

বেনাপোল কাস্টমস হাউজের অতিরিক্ত কমিশনার ড.নেয়ামুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি সীমান্তে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ। প্রতিদিন আক্রান্তের হার বাড়ছে। এ অবস্থায় বন্দরের বাইরে গিয়ে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে লোকালয়ে ভারতীয় ট্রাক চালকেরা পাথর খালি করায় এ ঝুঁকি আরও বাড়ছিল। ফলে ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে এ বন্দর দিয়ে আপাতত পাথরবাহী ট্রাক প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কিন্তু ব্যবসায়ীরা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আমদানি-রফতানি বন্ধ করে দেয়। পরে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা বসা হবে জানালে ৫ ঘণ্টা পর আবারও এপথে বাণিজ্য শুরু হয়। বন্দরের বাইরে পাথর খালাসের অনুমতি দেওয়া হবে কিনা তা ভেবে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার জানান, বন্দরে এমনিতে জায়গা সংকট। এ অবস্থার মধ্যে প্রতিদিন দেড়শো থেকে দুইশো ট্রাক পাথর রাখার জায়গা নাই। এসব পাথর বন্দরে নামালে অন্য মালামাল উঠা-নামানোই বিঘ্ন ঘটবে।

পাথর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রুপালী এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি রাজিব জানান, পদ্মা সেতুর কাজে এ পাথর ভারত থেকে আমদানি করা হচ্ছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ বন্দরে পাথর খালাস করতে দিচ্ছেন না, আবার কাস্টমস বন্দরের বাইরে নামাতে নিষেধ করায় গত ৫ দিন ধরে পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে। এতে যেমন উন্নয়ন কাজ বিঘ্ন ঘটছে তেমনি তাদের অনেক লোকসানও হচ্ছে। মঙ্গলবার ভারতীয় ব্যবসায়ীরা পাথর রফতানি বন্ধের প্রতিবাদ করে অন্যান্য পণ্যের আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ করে দেয়।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, প্রতিবছর এ বন্দর থেকে সরকারকে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব দেওয়া হয়। কিন্তু বন্দরে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন না হওয়ায় মারাত্মকভাবে বাণিজ্য ব্যাহত হচ্ছে। জায়গার অভাবে কখনো বাণিজ্য বন্ধ থাকছে আবার কখনো খোলা আকাশের নিচে পণ্য রাখায় রোদ, বৃষ্টিতে ভিজে পণ্যের গুণগত মান নষ্ট হচ্ছে। এতে অনেক ব্যবসায়ী সুবিধা বঞ্চিত হয়ে এ বন্দর ছেড়ে চলে যাচ্ছেন অন্য বন্দরে। ফলে গত ৪ বছর ধরে এ বন্দরে আমদানি পণ্য থেকে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা হারে রাজস্ব আসছে না।

পিএনএস/এসআইআর

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন