যা আছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ই-কমার্স নির্দেশিকায়

  06-07-2021 12:08PM

পিএনএস ডেস্ক: দেশের ই-কমার্স ব্যবস্থাপনা সুন্দর ও সুচারুভাবে পরিচালনার জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেল এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডাব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা ২০২১ জারি করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। নির্দেশিকাটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।

অনলাইনে পণ্য কেনার জন্য গ্রাহক মূল্য পরিশোধের পর নির্ধারিত সময়ে পণ্য সরবরাহ করতে ব্যর্থ হলে, মূল্য পরিশোধের ১০ দিনের মধ্যে ক্রেতার পুরো টাকা ফেরত দিতে হবে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে। দেশে প্রথমবারের মতো জারি করা ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকায় এই শর্ত উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে গ্রাহক মূল্য পরিশোধ করার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সরবরাহকারীর কাছে পণ্য পৌঁছে দেবে বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান। এরপর তা ক্রেতাকে এসএমএস দিয়ে জানিয়ে দেয়া হবে। ক্রেতা এবং বিক্রেতা একই শহরে থাকলে মূল্য পরিশোধের ৫ দিনের মধ্যে, আর ভিন্ন শহরে থাকলে ১০ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহ করতে হবে। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ক্ষেত্রে সরবরাহের সময় আরও কম রাখতে হবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিক্রেতা কোনো কারণে নির্ধারিত সময়ে পণ্য সরবরাহ করতে ব্যর্থ হলে, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ব্যাংক, মোবাইল ব্যাংকিং বা অন্য যে মাধ্যমে পণ্যের অগ্রিম মূল্য ক্রেতা পরিশোধ করেছেন সেই মাধ্যমেই তা ফেরত দিতে হবে।

এছাড়া যেসব পণ্যের ওয়ারেন্টি বা গ্যারান্টি রয়েছে, সরবরাহের সময় সেগুলোর কার্ড ক্রেতাকে দিতে হবে। সেই কার্ডে উল্লেখ থাকতে হবে কত দিন এবং কোথা থেকে এই সেবা পাওয়া যাবে। প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়েছে, ক্রেতার সহজে সিদ্ধান্ত নেয়ার সুবিধার্থে পণ্যের মূল্য ও সব ধরনের করের কথা ই-কমার্সের ওয়েবসাইটে উল্লেখ করতে হবে।

প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে বিক্রয়যোগ্য পণ্য বা সেবার যথাযথ বিবরণ, মূল্য, পণ্য পৌঁছানোসহ অন্যান্য খরচের কথা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। পণ্যের মেয়াদোত্তীর্ণের সময়ও জানাতে হবে। কোনো নকল বা ভেজাল পণ্য প্রদর্শন করা যাবে না। বহুস্তর বিপণন পদ্ধতিতে (এমএলএম) পদ্ধতিতে কোনো ব্যবসা পরিচালনা করা যাবে না। চিকিৎসা বা ওষুধসামগ্রী কেনাবেচার ক্ষেত্রে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের লাইসেন্স নিতে হবে। কোনো ধরনের নেশাজাতীয় পণ্য বিক্রি করা যাবে না এবং জুয়ার আয়োজনও করা যাবে না।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিক্রেতার ওয়েবসাইটে কোনো বিশেষ সফটওয়্যার থাকলে তা ক্রেতাকে আগেই জানাতে হবে। অভিযোগ গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় অ্যাপ বা প্ল্যাটফর্মে ফোন নম্বর, ই-মেইল বা অন্যান্য যোগাযোগের মাধ্যম স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। অভিযোগ রেকর্ডের ব্যবস্থাও থাকতে হবে। অভিযোগ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সমাধানের ব্যবস্থা করতে হবে।

এছাড়া পণ্যের বা সেবার বিষয়ে মতামত বা রেটিং জানানোর ব্যবস্থা রাখতে হবে ওয়েবসাইটে। এসব মতামত মুছে ফেলা যাবে না। আর নির্দেশিকা পালন না করলে অমান্যকারী প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স, কোম্পানি নিবন্ধন, ভ্যাট নিবন্ধন সরকার বাতিল করে দেবে।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন