তেল, চিনি, ডিম, মুরগিতে হিমশিম ক্রেতাদের

  10-09-2021 12:04PM

পিএনএস ডেস্ক: মাছ, মুরগি, ডিম ও সবজি কয়েক সপ্তাহ ধরেই বাড়তি দামে কিনছেন ক্রেতারা। সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। সোনালি মুরগির দামও কেজিতে ৫০ থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এছাড়া ফার্মের মুরগির ডিম বেড়েছে ডজনে পাঁচ থেকে ১০ টাকা।

এসবের সঙ্গে রাজধানীর বাজারে বেড়েছে ভোজ্য তেল ও চিনির দাম। গেলো দুই সপ্তাহে পণ্য দুটিতে বেড়েছে ১৬ টাকার বেশি। এর মধ্যে চিনির দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ১০ টাকা আর সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৮ টাকার বেশি। যদিও পণ্য দুটির দাম বেঁধে দিয়েছে মিল মালিক ও সরকার। গতকাল খোলা চিনির কেজি ৭৪ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি ৭৫ টাকা কেজি দাম ঠিক করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও মিল মালিকরা।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি হয়েছে ৭৮ থেকে ৮০ টাকায়।

এদিকে গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে আটার দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ২ টাকা। এছাড়া অন্যান্য নিত্যপণ্য আগের দামেই বিক্রি হতে দেখা গেছে। বাজারে এখন গড়ে সবজির কেজি ৫০ টাকা। পটল, ঢেঁড়সসহ কিছু সবজি ৪০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। তবে কিছু সবজি ৬০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে আলুর দাম রয়েছে সহনীয়।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, ইলিশের সরবরাহ কম থাকায় অন্য মাছের দাম খুচরায় কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে। হালিপ্রতি মুরগির লাল ডিম বিক্রি হয় ৩৯-৪০ টাকায়। আর ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকায়। হাঁস কিংবা দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হয় ৫৮-৬০ টাকা হালিতে, তবে ডজন বিক্রি হয় ১৬৫-১৭৫ টাকায়। বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয় ১৪৫-১৫০ টাকা কেজি দরে। ব্রয়লার মুরগি ছাড়াও সোনালি মুরগি বিক্রি হয় ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়। দেশি মুরগি বিক্রি হয় ৪২০ থেকে ৪৪০ টাকা দরে। আর গরুর মাংস বিক্রি হয় ৬০০ টাকা কেজি দরে। আর খাসির মাংস বিক্রি হয় ৮০০-৮৫০ টাকা কেজিতে।

ক্রেতারা বলেছেন, মহামারি করোনার কারণে আয় কমেছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ব্যয়। ঠিক এ সময়ে একের পর এক জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলেছে। মাছ-মাংস, চাল-ডালের পর এখন ডিমের দাম বেড়েছে। এতে তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে বা প্রয়োজন মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন