পিএনএস ডেস্ক : গত ১৩ বছরে দেশের বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক পণ্যের দাম অপ্রত্যাশিত হারে বেড়েছে। এর মধ্যে দেশের প্রধান খাদ্য চালের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। আর মাংস চলে গেছে দরিদ্র মানুষের নাগালের বাইরে। ১৩ বছরের ব্যবধানে তিন গুণেরও বেশি বেড়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম।
সরকারের কৃষি বিপণন অধিদফতরের বাজার শাখা-২ থেকে ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসের বাজার দরের তথ্য সংগ্রহ করেছে।
তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে দেশের বাজারে প্রতি কেজি আমন সরু চালের গড় দাম ছিল ৩৬ টাকা ১০ পয়সা। একই জাতের মাঝারি আকারের চালের দাম ছিল ২৮ টাকা ৬১ পয়সা ও মোটা আমনের দাম ছিল ২৪ টাকা ৫৭ পয়সা।
একই সময়ে বোরো জাতের চিকল চালের দাম ছিল ৩৬ টাকা ৪২ পয়সা। মাঝারি আকারের চাল ছিল ৩১ টাকা ৭১ পয়সা আর মোটা চাল ছিল ২৫ টাকা ৫২ পয়সা।
শনিবার (১১ জুন) সকালে রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মিনিকেট চাল কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৮ থেকে ৭২ টাকা কেজি দরে। আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। নাজিরশাইল চালের দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা। আর মোটা চালের মধ্যে পাইজাম বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়।
দেশের বাজারে গত কয়েক মাস ধরেই গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা কেজি করে। তবে সরকারি তথ্য বলছে, ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে দেশের বাজারে গরুর মাংসের গড় দাম ছিল ২০৩ টাকা।
আবার বর্তমানে ৯০০ থেকে হাজার টাকা কেজি করে বিক্রি হচ্ছে এক কেজি খাসির মাংস। ২০০৯ সালে এই দাম ছিল ২৮৯ টাকা। সে হিসেবে ১৩ বছরে গরু ও খাসির মাংসের দাম বেড়েছে তিন গুণের বেশি।
চাল-গরু ও খাসির মাংসের দাম দুই থেকে তিনগুণ বাড়লেও সে হিসেবে অনেকটা নিয়ন্ত্রণেই আছে ব্রয়লার মুরগির দাম। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ১০৮ টাকা কেজি। বর্তমানে সে মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা কেজি দরে। অর্থাৎ ১৩ বছরে কেজি ৬২ থেকে ৬৭ টাকা দাম বেড়েছে। সূত্র : ঢাকা মেইল
পিএনএস/আলাউদ্দিন
১৩ বছরে চালের দাম দ্বিগুণ, মাংস তিন গুণ
12-06-2022 11:37AM