বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা

  01-12-2021 07:43PM

পিএনএস ডেস্ক: বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এ বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে মোট পরীক্ষার্থী প্রায় ১৪ লাখ। গতবারের চেয়ে পরীক্ষার্থী বেড়েছে ৩৩ হাজার ৯০১ জন।

আন্তশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক উপকমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম আমিরুল ইসলাম বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, এইচএসসি পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সকাল হলেই শুরু হবে এ পরীক্ষা।

এবার সারাদেশে দুই হাজারের বেশি কেন্দ্রে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে শুধুমাত্র ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ৩২৯টি কেন্দ্রে হবে পরীক্ষা।

জানা যায়, এবার গ্রুপভিত্তিক তিনটি বিষয়ে নম্বর ও সময় কমিয়ে (দেড় ঘণ্টায়) এই পরীক্ষ অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সঙে একজনের বেশি আসতে পারবে না। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট সবাইকে মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি।

পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর আধা ঘণ্টা আগে অবশ্যই পরীক্ষার কক্ষে বসতে হবে। বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) ও সৃজনশীল (সিকিউ) অংশের পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না।

সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা আয়োজনে ১৬ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এগুলো হলো-

১. অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থী নির্ধারিত সময়ের পর পরীক্ষাকেন্দ্রে আসলে রেজিস্টারে নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময় ও বিলম্বের কারণ উল্লেখ করতে হবে। বিলম্বে আসা পরীক্ষার্থীদের তালিকা প্রতিদিন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে জানাবেন।

২. কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ব্যতীত পরীক্ষাকেন্দ্রে অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা মোবাইল ফোনের সুবিধাসহ ঘড়ি, কলম বা অননুমোদিত ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না।

৩. কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছবি তোলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাবিহীন একটি সাধারণ (ফিচার) ফোন ব্যবহার করতে পারবেন।

৪. অননুমোদিত ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।

৫. ট্রেজারি/থানা/নিরাপত্তা হেফাজত হতে প্রশ্নপত্র গ্রহণ ও পরিবহন কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা, শিক্ষক, কর্মচারীরা কোনো ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। প্রশ্নপত্র বহনের কাজে কালো কাঁচযুক্ত মাইক্রোবাস বা এরূপ কোনো যানবাহন ব্যবহার করা যাবে না।

৬. প্রত্যেক কেন্দ্রের জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা কর্মকর্তা (ট্যাগ অফিসার) নিয়োগ দিতে হবে। ট্রেজারি/থানা/নিরাপত্তা হেফাজত হতে কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা তার মনোনীত উপযুক্ত প্রতিনিধি বা ট্যাগ অফিসারসহ প্রশ্নপত্র গ্রহণ করে পুলিশ প্রহরায় কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন।

৭. নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা কর্মকর্তার (ট্যাগ অফিসার) উপস্থিতি ব্যতীত প্রশ্ন বের করা যাবে না বা বহন করা যাবে না।

৮. ট্রেজারি/থানা/নিরাপত্তা হেফাজত হতে পরীক্ষার কেন্দ্রে বহুমুখী নির্বাচনী প্রশ্নসহ রচনামূলক বা সৃজনশীলের সব সেটের প্রশ্ন নিতে হবে।

৯. প্রশ্নের সেট কোড পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে জানানো হবে। সেই অনুযায়ী নির্ধারিত সেট কোডে পরীক্ষা নিতে হবে।

১০. কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ট্যাগ অফিসার), কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও পুলিশ কর্মকর্তার উপস্থিতি ও স্বাক্ষরে বিধি অনুযায়ী প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলতে হবে।

১১. পরীক্ষা চলাকালীন ও পরীক্ষা অনুষ্ঠানের আগে বা পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ও পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরা ব্যতীত অন্যদের প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ থাকবে। এসময়ে কেন্দ্রে প্রবেশকারী অননুমোদিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।

১২. অনিবার্য কারণবশত কোনো পরীক্ষা বিলম্বে শুরু করতে হলে যত মিনিট পরে পরীক্ষা শুরু হবে পরীক্ষার্থীদের সে সময় থেকে যথারীতি প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত নির্ধারিত সময় দিতে হবে।

১৩. পরীক্ষাকেন্দ্রে ও প্রশ্ন পরিবহনে দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্বপালন করবে।

১৪. প্রশ্নপত্র ফাঁস কিংবা পরীক্ষার্থীদের নিকট উত্তর সরবরাহে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জেলা প্রশাসন কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেবে।

১৫. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত গুজব কিংবা এ কাজে তৎপর চক্রগুলোর কার্যক্রমের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো নজরদারি জোরদার করবে।

১৬. কোভিড-১৯ মহামারির কারণে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট সবাই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা অনুষ্ঠান নিশ্চিত করতে হবে।

প্রতিবছরের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয় এপ্রিলে। কিন্তু করোনার কারণে এ বছরের এইচএসসি পরীক্ষা ঠিক সময়ে শুরু হয়নি।

পিএনএস/আইএইচ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন