শিক্ষার্থী বাড়লেও বাড়েনি ঢাবির আবাসন ও পরিবহন সুবিধা

  04-12-2021 05:44PM

পিএনএস ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত দিনে দিনে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। সে তুলনায় বাড়েনি আবাসন ও পরিবহন সুবিধা। দিন যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একের পর এক সমস্যা প্রকট হচ্ছে।

ফলে শিক্ষার্থীরা মানসম্মত একাডেমিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পিছিয়ে পড়ছেন আন্তর্জাতিক মানদণ্ড থেকেও। শতবর্ষ পেরিয়েও র্যা কিংয়ে কোনো ভালো স্থান দখল করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। এসব সমস্যার কবে সমাধান হবে, সে প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছেন শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বর্তমানে ১৮টি হলে আবাসিক ও দ্বৈতাবাসিক মিলিয়ে ১৭ হাজার ৬০ জনের আবাসন সুবিধা রয়েছে, যা মোট শিক্ষার্থীর ৪৬ শতাংশ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আরেকটি তথ্য অনুযায়ী, মোট শিক্ষার্থীর ৬০ শতাংশই আবাসিক হলে অবস্থান করছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নিয়মিত শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশই হলের গণরুমে থাকছেন। কয়েকটি হল ছাড়া স্নাতক শেষ বর্ষ কিংবা স্নাতকোত্তর বর্ষের শিক্ষার্থী ব্যতীত অন্যান্য বর্ষের কেউ হল প্রশাসনের বরাদ্দ করা কক্ষে থাকতে পারছেন না। এছাড়া ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে এমন শিক্ষার্থীরা হলে রুম দখল করে রাখায় নিয়মিত ছাত্রদের আবাসিক সুবিধা পাওয়া নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে।

ফলে শিক্ষার্থীরা একজনের রুমে দু-চারজন, দুজনের রুমে ছয় থেকে আটজন আর চারজনের রুমে আট থেকে ১২ জন করে থাকেন। শিক্ষাবর্ষ অনুযায়ী এ সুবিধার পার্থক্য দেখা যায়। বিশেষ করে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা চারজনের রুমে ১৬ থেকে ২০ জন পর্যন্ত থাকেন, যা গণরুম হিসেবে পরিচিত।

এছাড়া ফাটল দেখা যাওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলের সামনের শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন শিক্ষার্থী সংযুক্ত করা হবে না বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এসএম হল প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত শিক্ষাবর্ষে এ হলে ২৫৩ শিক্ষার্থীকে সংযুক্ত করা হয়েছিল।

কিন্তু আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে এ হলে নতুন শিক্ষার্থী সংযুক্ত করা না হলে বিদ্যমান অন্যান্য হলে এ সংখ্যক শিক্ষার্থীকে সংযুক্ত করা হবে। এছাড়া এ বছর নতুন করে বৃদ্ধি পাওয়া আরও ৩০ জন শিক্ষার্থী বিদ্যমান আবাসন ব্যবস্থায় ভাগ বসাবে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য ১৮টি রুটে মোট ৭৪টি বাস চলাচল করে। পরিবহন অফিসের তথ্যমতে, ৭৪টি বাসের মধ্যে দোতলা বাস ৫০টি এবং একতলা ২৪টি। দোতলা বাসে আসন ৮৪টি আর একতলায় ৫২টি। সবমিলিয়ে বাসে মোট আসন পাঁচ হাজার ৪৪৮টি, যা মোট শিক্ষার্থীর মাত্র ১৪ শতাংশ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বাসে আসনের সমান সংখ্যক শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে যাতায়াত করেন। অনেক সময় শিক্ষার্থীদের ঝুলে যেতেও দেখা যায়। এছাড়া ঢাকার বিভিন্ন রুটে পরিবহন সুবিধা না থাকায় সেসব শিক্ষার্থীদের নিজ খরচে বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে ক্লাসে আসতে হয়। বিকেল সাড়ে ৫টার মধ্যে সব বাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছেড়ে যাওয়ার কারণে রাত ১০টায় লাইব্রেরি থেকে পড়া শেষ করে শিক্ষার্থীদের বাসায় ফিরতে ভোগান্তি পোহাতে হয়।

কয়েক দশক ধরে সংকট চলতে থাকায় শিক্ষার্থীরা এসব বিষয়কে ‘স্বাভাবিক’ হিসেবে ধরে নিয়েই চলছেন। শিক্ষার্থীরা আবাসন ও পরিবহন সুবিধা অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নিজেদের টিকিয়ে রাখছেন।

আবাসন ও পরিবহন নিয়ে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ হাজার ৫১০ জন শিক্ষার্থীর ‘স্বাভাবিক’ আবাসন ও পরিবহন সুবিধা ভোগ করার সুযোগ নেই। এই সংখ্যা মোট শিক্ষার্থীর ৩৯ শতাংশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে প্রতি বছর পরিবহন সুবিধা ভোগের জন্য আলাদা টাকা দিতে হচ্ছে। কিন্তু তাদের যে পরিমাণ সুবিধা থাকা প্রয়োজন তার থেকে বিদ্যমান সুবিধা খুব নগণ্য।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী আজিজুর রহমান রিজভী বলেন, আমরা অনেক বড় স্বপ্ন নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই। ঢাকায় কোনো নিকটাত্মীয় না থাকায় হলই আমাদের শেষ ভরসা। গণরুমে থাকতে হয়েছে। সেখানে পড়াশোনার কোনো পরিবেশ নেই। আমরা সেখানে গিয়ে প্রায় সময় নিজেদের বিছানাই খুঁজে পেতাম না। আর বই-খাতাও কোথায় পড়ে থাকতো তার তো কোনো ঠিক ঠিকানা নেই।


ফলে পরীক্ষার জন্য ভালো প্রস্তুতি নিতে পারিনি। ফলাফলে আমরা অন্যদের থেকে তুলনামূলক পিছিয়ে পড়ি। যে প্রত্যাশা, যে স্বপ্ন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলাম তা থেকে অনেক দূরে চলে যেতে হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেসব সুবিধা পাচ্ছে তা খুব অপ্রতুল। আবাসন ও পরিবহনের যে সংকট শিক্ষার্থীরা এটি ভাগ করে নিচ্ছে। শিক্ষার্থীদের এ সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা রাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করছি। এরই মধ্যে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে এগুচ্ছি। আমরা এই মাস্টারপ্ল্যানের কাজ শুরুর বিষয়ে আশাবাদী। এটি বাস্তবায়ন হলে সংকট থাকবে না বলে আমরা আশা করছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের চলমান সম্প্রসারণ কাজ সমাপ্ত হলে ২০২২ সালের মধ্যভাগে এই দুই হলে এক হাজার করে মোট দুই হাজার শিক্ষার্থীর নতুন আবাসনের ব্যবস্থা হবে। মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন হলে দুটি নতুন হল এবং বিদ্যমান হলগুলোর মধ্যে পাঁচটি সম্প্রসারিত ভবনে মোট ছয় হাজার ২০০ শিক্ষার্থীর আবাসনের নতুন ব্যবস্থা তৈরি হবে।

সব মিলিয়ে আট হাজার ২০০ শিক্ষার্থীর নতুন আবাসন ব্যবস্থা হবে। সর্বোপরি ২৫ হাজার ২৬০ জন শিক্ষার্থী আবাসন সুবিধার মধ্যে আসবে। বর্তমান শিক্ষার্থীর যে সংখ্যা রয়েছে তা ঠিক থাকলে আরও ছয় হাজার ৩১০ জন শিক্ষার্থী আবাসন সুবিধার বাইরে থাকবেন, যা বর্তমান শিক্ষার্থী সংখ্যার ১৭ শতাংশ। এসব শিক্ষার্থীদের আবাসন সুবিধা বাদ দিয়ে যদি পরিবহন সুবিধার আওতায় আনতে হয় তাহলে বর্তমানে পরিবহন পুলে থাকা বাসের সঙ্গে আরও দ্বিগুণ যোগ করতে হবে।

শিক্ষার্থীদের সমস্যার বিষয়ে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মো. ফয়েজউল্লাহ বলেন, প্রথমত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ে এবং সাবজেক্টের সংখ্যা যখন বাড়ানো হয় তখন সে অনুযায়ী সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন কোনো বিভাগ খোলা হলো, তার জন্য হয়তো নতুন করে দুজন শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। কিন্তু এই নতুন দুইজন শিক্ষার্থী যে কোথায় থাকবেন, সে সুযোগ আছে কি না অথবা তার যে শ্রেণিকক্ষ প্রয়োজন এ ধরনের কোনো পরিকল্পনা নেই।

তিনি বলেন, এভাবে আমরা দেখেছি, গত ১৫ বছরে অনেকগুলো বিভাগ খোলা হয়েছে। সেখানে নতুন নতুন শিক্ষার্থীও নেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন বিষয় আসবে কিন্তু বিষয় আসার আগে তার যে পরিকল্পনা, তার যে অবকাঠামো প্রয়োজন আছে সে বিষয়গুলো আগে পূর্ণাঙ্গ করে পরে বিভাগ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একচেটিয়া সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এখানে পরিকল্পনাবিহীন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের আবাসন পরিবহনের মতো সমস্যাগুলো দিন দিন প্রকট হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নেওয়া মাস্টারপ্ল্যানে ছাত্র সংগঠনের মতামত নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি। তিনি বলেন, মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। ফলে শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট সমস্যাগুলোর সমাধান মাস্টারপ্ল্যানে উঠে আসেনি। আমরা আশা করবো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করবে।

শিক্ষার্থীদের সমস্যার বিষয়ে ডাকসুর সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌলিক সংকট হচ্ছে আবাসন। আবাসন সংকটের সমাধান না করে নানা ধরনের নীতিগত পরিবর্তন এনে বা আনুষঙ্গিক অন্যান্য ব্যবস্থা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বৈশ্বিক মানে নেওয়া সম্ভব হবে না। যদি আবাসন সংকটের কথা না ভেবে ভিন্নভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় সেটি এক ধরনের শুভঙ্করের ফাঁকি বলে আমি মনে করি।

পরিবহন সমস্যা নিয়ে তিনি বলেন, পরিবহনে আমাদের যে বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা রয়েছে সেগুলো পর্যাপ্ত নয়। পুরোনো বাস, অল্প সিটে অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থীকে থাকতে হয়। সব রুটে আমরা বাস চালু করতে পারিনি। সন্ধ্যার পরে কোনো বাস থাকে না দূরবর্তী কোনো স্থানে যাওয়ার জন্য। লাইব্রেরিতে পড়াশোনা শেষ করে বাসায় যাবে সেই ব্যবস্থাও নেই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন, পরিবহন ও লাইব্রেরি সমস্যার সমাধান করা প্রয়োজন। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

শিক্ষার্থীদের সমস্যার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় অর্ধেকের মতো শিক্ষার্থীর আবাসন ও পরিবহন সুবিধার বাইরে থাকা খুবই দুঃখজনক। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যদি শিক্ষার্থীদের এসব বিষয়ে অনুভব করতেন তাহলে এ সমস্যা এত প্রকট হতো না। ছাত্র সংসদ তিন দশক ধরে বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর কোনো মূল্যায়ন ছিল না। শিক্ষকরা তো নিজের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো নিয়ে ব্যস্ত।

হলে মেধা ও প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে আসন বণ্টন, প্রশাসনের মাধ্যমে হল তদারকি এবং পুরোনো শিক্ষার্থীদের বের করে নতুন শিক্ষার্থীদের হলে রাখলে আবাসন সমস্যা কিছুটা সমাধান হবে বলে মনে করেন নুরুল হক নুর।

আবাসিক ও পরিবহন সংকট মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

মাস্টারপ্ল্যানে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো বৃদ্ধি ও শক্তিশালী করার পরিকল্পনা দেখা গেলেও শিক্ষার্থীদের আবাসন, পাঠকক্ষ, শ্রেণিকক্ষ, পরিবহন সংকট নির্মূলের পরিকল্পনা তেমনভাবে গুরুত্ব পায়নি।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, মাস্টারপ্ল্যানে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক পরিবর্তন আসবে। এর মধ্যে দুটি নতুন হল তৈরির পাশাপাশি বিদ্যমান কয়েকটি হলের পুরোনো কাঠামো ভেঙে নতুন করে বহুতল ভবন করা হবে। সেখানে শিক্ষার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক মানের কক্ষ বানানো হবে। এতে আমাদের শিক্ষার্থীদের বর্তমান আবাসন সমস্যা অনেকটা কমে যাবে। আমরা ৪০ হাজার শিক্ষার্থীর আবাসনের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছি।

পরিবহন সংকট নিয়ে তিনি বলেন, পরিবহন সংকট বিশ্ববিদ্যালয় চাইলেই যে কোনো সময় সমাধান করতে পারে। এটা খুব বড় সমস্যা নয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের শুধু আবাসন ও পরিবহন সংকট নয়, তারা লাইব্রেরি, শ্রেণিকক্ষসহ বিভিন্ন সমস্যায় রয়েছে। শিক্ষার্থীরা এসব সংকটের মধ্যে থাকায় শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ পায় না। ফলে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় মনোযোগী হতে পারছে না। আমরা দেখেছি আমাদের শিক্ষার্থীরা গণরুমে গাদাগাদি করে থাকে। বাসে খুবই রিস্ক নিয়ে যাতায়াত করে। এটি দেখলে আমাদের খারাপ লাগে।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের এসব সুবিধা বাড়ানোর চেষ্টা করছি। মাস্টারপ্ল্যান আছে। তবে মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন আগামী পাঁচ বছরেও সম্পন্ন হতে পারবে কি না বলা যাচ্ছে না। কাজ চলতে থাকলে একটা সময় এসব সংকট দূর হবে বলে আশা করা যায়। আমরা চাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বের সঙ্গে এগিয়ে নিতে।

মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন হতে কত বছর লাগবে এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জানান, মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের সম্ভাব্য সময়সীমা ১৫ বছর। অবশ্য প্রধানমন্ত্রী সময় আরও কমিয়ে আনতে বলেছেন।

পিএনএস/আইএইচ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন