শিক্ষার্থীরা নিজেদের মতো করে বড় হলে দক্ষতা ও সক্ষমতা অর্জন করবে : ঢাবি ভিসি

  10-06-2022 12:57PM



পিএনএস ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দেশের ৮ বিভাগীয় শহরে একই সাথে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ঢাবি উপাচার্য ক্যাম্পাসে ভিড় না করার ‌অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন, শিক্ষার্থীদের সবসময় চামচ দিয়ে খাইয়ে দেয়ার দরকার নেই। তারা নিজেদের মতো করে বড় হলে দক্ষতা ও সক্ষমতা অর্জন করতে পারবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আজকের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে পাওয়া সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী ‘ক’ ইউনিটের মোট ১ হাজার ৮৫১ টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ১ লক্ষ ১৫ হাজার ৭২৬ জন। সে হিসেবে এই ইউনিটে প্রতি আসনের বিপরীতে ৬২.৫২ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে।

এবারের ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৬০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। এমসিকিউ পরীক্ষা ৪৫ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষা ৪৫ মিনিট ধরে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সকাল সোয়া ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে ব্রিফিং করার সময় ঢাবি ভিসি অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘ঢাকার বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে আমরা খবর পেয়েছি তারা কোনো ধরণের সমস্যা ছাড়া যথাযথভাবে ভালো পরীক্ষা পরিচালনা করছেন। আমি শিক্ষার্থীদের সাথেও কথা বলেছি। প্রশ্নপত্রের মান, ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে তারা খুব সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।’

তিনি বলেন, ‘ক’ ইউনিটের পরীক্ষাটি সমন্বয় করছেন, ফার্মেসী ‌অনুষদের সম্মানিত ডিন ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার। তিনি এবং তার টিম এখানে আছেন। তারাও অবহিত করেছেন যে এই ইউনিটেই ভর্তি পরীক্ষা সবচেয়ে বেশি।

এখানে ১৮৫১টি আসনের বিপরীতে প্রায় ১ লক্ষ সাড়ে ১৫ হাজার পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। ঢাকাতে প্রায় ৬৩ হাজার এবং বাদ বাকি ৫৩ হাজার ঢাকার বাইরে পরীক্ষা দিচ্ছে। সব মিলিয়ে এই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় একটি তুমুল প্রতিযোগিতা হবে। এটার (ক-ইউনিট) পরিধি অনেক বড়।’

পরিবেশ-ব্যবস্থাপনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পরীক্ষার্থীদের সহযোগিতায় আসা আমাদের শিক্ষার্থীরা এবং স্বেচ্ছাসেবকরা পরিবেশকে সুন্দর রাখার ব্যাপারে সচেষ্ট ছিল। তবে একটি বিষয়ে পরিবর্তন আমাদের লাগবে।

পরীক্ষার দিনগুলোতে যখন ক্যাম্পাসে ‌‌অনেক জনসমাগম হয় তখন যাতে গাড়ি, যানবাহনগুলো বেশি প্রবেশ না করে। শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় আমরা যাতে বেশি ভিড় এখানে না করি। পরীক্ষার্থীদের জন্য যতটুকু প্রয়োজন তার জন্য আমাদের প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় সুযোগ সুবিধা রাখা হয়।

অভিভাবকদের ‌ক্যাম্পাসে ভিড় না করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীদেরকে নিজেদের মতো করে বড় হতে দেয়া আমাদের দায়িত্ব। তাদের (পরীক্ষার্থী) সবার বয়স আঠারো বছর, তারা প্রত্যেকেই খুবই বুদ্ধিমান এবং দক্ষতাসম্পন্ন। দেশেরে সমাজ, মানুষ জাতি, সংস্কৃতির সাথে তাদের নানাভাবে পরিচয় ঘটুক। এতে করে তারা দক্ষ গ্র্যাজুয়েট হওয়ার জন্য শক্তি পাবে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীরা দেশকে চিনুক, মানুষের সাথে মিশুক। এই মিথষ্ক্রিয়া প্রয়োজন আছে। এটি যখন যে নিজে থেকে করবে তখন তার দক্ষতা, মনোবল ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাবে। সুতরাং শিক্ষার্থীদেরকে সবসময় ‌অভিভাবকদের চামচ দিয়ে খাইয়ে দেয়ার দরকার নেই।

এখন যেহেতু তাদের বয়স হয়েছে সেহেতু তাদের সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য নিজেদের মতো কাজ করলে তাদের সাবলম্বী হওয়ার পথ তৈরি হবে।’

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ৩ জুন, শুক্রবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এবং ৪ জুন, শনিবার অনুষ্ঠিত হয় কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিটের পরীক্ষা।

আগামী ১১ জুন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিট এবং ১৭ জুন চারুকলা অনুষদভুক্ত ‘চ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা (সাধারণ জ্ঞান) অনুষ্ঠিত হবে।

পিএনএস/আলাউদ্দিন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন