মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

  06-06-2024 12:12AM

পিএনএস ডেস্ক: প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছেন তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

এ রায়ের নিন্দা জানিয়ে তারা বলছেন, কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র বহাল রাখতে হবে। অন্যথায় তারা দীর্ঘমেয়াদি আন্দোলনে যাবেন।

রায় প্রত্যাখ্যান করে বুধবার সন্ধ্যায় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভ মিছিলে শতাধিক শিক্ষার্থীকে কোটাবিরোধী প্লেকার্ড হাতে নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রদক্ষিণ করেন।

বিক্ষোভ সমাবেশে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা হাইকোর্টের এই রায়কে অবৈধ মনে করছি। এর তীব্র নিন্দা জানাই। যদি হাইকোর্টের এই রায় বহাল থাকে তাহলে আমরা দীর্ঘ মেয়াদী আন্দোলনে যাব। আমরা ১৮ সালে বলেছিলাম সরকারি চাকরিতে যেন মেধাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা থাকা কোনো দেশের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না। সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে হাইকোর্ট কীসের ভিত্তিতে এই রায় দিলো এটা আমরা জানি না। এক্ষেত্রে সরকার যদি কোনো সিদ্ধান্তে আসতে চায় তাহলে অবশ্যই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে আসতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সরকার দেশের শিক্ষার্থীদেরকে চাকরি দিতে পারছে না, সেখানে সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা এবং সার্বিকভাবে এই কোটার সংখ্যা ৫৬ শতাংশ। আমরা হাইকোর্টের এই রায় প্রত্যাখ্যান করলাম। ১৮ সালে যে রায় দিয়েছিলো সেই রায়ে অটল থাকতে হবে।

এ সময় বৃহস্পতিবার বিকাল পাঁচটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ফের বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেন বিক্ষোভকারীরা।

এসময় শিক্ষার্থীরা- ‘চাকরিতে কোটা, মানি না মানব না’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়/স্বাধীনতার বাংলায়, কোটার ঠাঁই নাই’, ‘হাইকোর্টের রায়, মানি না মানব না’, ‘কোটা পদ্ধতি, কোটা পদ্ধতি, মানি না মানবো না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা কোনো দেশের স্বাভাবিক শিক্ষাব্যবস্থা হতে পারে না। আজ হাইকোর্ট শিক্ষার্থীদের চাওয়াকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কোটা পুনর্বহালের পক্ষে রায় দিয়েছেন। এমন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে অবশ্যই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা মুক্তযোদ্ধাদের সম্মান জানাই। কিন্তু তা-ই বলে তাদের সন্তান এমনকি নাতি-নাতনিরা পরিশ্রম কম করেই কোটায় চাকরিতে যোগ দেবে এটা মানি না। আমরা হাইকোর্টের এই রায়কে অবৈধ ঘোষণা করলাম।

তারা বলেন, আমরা সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানাই আপনারা রাস্তায় নেমে আসুন, এই কোটা আন্দোলনে শরিক হোন। এটা আমাদের অধিকারের লড়াই। দেশের মেধাবিরা পরিশ্রম করে চাকরি পাবে, কোটায় নয়। আপনারা দলমত নির্বিশেষে একত্রিত হয়ে শোষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সরকারি চাকরিতে কোটার বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন।

পিআর

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন