ওষুধ ছাড়াও কৃমি কমতে পারে যেভাবে

  14-01-2023 02:46AM

পিএনএস ডেস্ক : কৃমি আসলে এক প্রকারের পরজীবী প্রাণী। শিশুদের দেহে এই সমস্যা বেশি দেখা গেলেও যে কোনো বয়সেই এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। সাধারণত মলমূত্র, নখের ময়লা ইত্যাদির মাধ্যমেই কৃমি শরীরে প্রবেশ করে থাকে। পানীয় জলের মাধ্যমেও কৃমির সংক্রমণ হতে পারে।

কৃমি হলে মলদ্বারে চুলকানির অনুভূতি হয়। সঙ্গে ঘন ঘন পেটে ব্যথা ও খিদে কমে যাওয়াও কৃমির লক্ষণ। শিশুদের ক্ষেত্রে আবার অনেক সময় দেখা যায় কৃমি হলে কিছু ক্ষণ পর পর থুতু ফেলতে থাকে শিশু।

কৃমি কমাতে অনেকে সরাসরি কৃমির ওষুধ খান। তবে ওষুধ ছাড়াও কৃমি কমতে পারে কিছু খাবারের খাদ্যগুণে।

এসব খাবারের মধ্যে রয়েছে লবঙ্গ। লবঙ্গের জীবাণুনাশক গুণ রয়েছে। এক কাপ জলে তিন-চারটি লবঙ্গ ফুটিয়ে নিন। সেই জল সারা দিন অল্প অল্প করে খান। লবঙ্গ দিয়ে ফোটানো জল শুধু কৃমি নয়, কৃমির ডিমও নির্মূল করে বলে মনে করেন অনেকে।

কৃমি কমাতে অনেকেই পরামর্শ দেন তেতো খেতে। এ ক্ষেত্রে কয়েকটি নিমপাতা বেটে ফ্রিজে রেখে দিন। সকালে খালি পেটে এক গ্লাস গরম পানিতে এক চামচ নিমপাতা বাটা মিশিয়ে সেই পানি খান। তবে যে পাত্রে পাতাবাটা রাখবেন, সেই পাত্রে যেন বাতাস না ঢুকতে পারে।

উপকার পেতে পারেন কুমড়োর বীজেও। কয়েকটি কুমড়োর বীজ হালকা করে ভেজে গুঁড়ো করে নিন। এবার পরিমাণ মতো পানি ও নারকেলের দুধের মিশ্রণের মধ্যে ভাজা কুমড়ো বীজের গুঁড়ো মিশিয়ে দিন। সকালে খালি পেটে এই পানি পান করুন।

কাঁচা হলুদ বেটে রস করে নিন। এক চা-চামচ হলুদের রসে সামান্য লবণ মিশিয়ে নিন। এটি প্রতি দিন সকালে খালি পেটে খান। আধ কাপ গরম পানিতে সামান্য হলুদ গুঁড়ো এবং লবণ মিশিয়েও খেতে পারেন।

পিএনএস/শাওন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন