পিএনএস ডেস্ক : টানা ভারী বর্ষণের ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে নেপালে কমপক্ষে ৪০ জন মারা গেছেন। এছাড়া দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে হাজার হাজার মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। নেপালের সরকারি কর্মকর্তাদের বরাতে এ খবর জানানো হয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে ।
রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে দুইশো কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমের মিয়াগদি জেলাতেই বন্যার কবলে কিংবা ও ভূমিধসে বিশ জন মারা গেছেন এবং নিখোঁজ রয়েছেন কমপক্ষে ১৩ জন। শুক্রবার ওই জেলায় অসংখ্য বাড়িঘর ধসে পড়ে। ডিস্ট্রিক্ট অ্যাম্বাসেডর জ্ঞাননাথ ঢাকাল রয়টার্সকে এসব তথ্য দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘যারা এখনো নিখোঁজ রয়েছেন তাদের উদ্ধারে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। ইতোমধ্যে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ৫০ জনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভুমিধসে মারাত্মকভাবে আহত ১৩ জনকে আশপাশের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি করা হয়েছে।’
মিয়াগদি জেলার পার্শ্ববর্তী কাসকি জেলায় বন্যা ও ভূমিধসে মারা গেছেন সাতজন। দেশটির পর্যটন জেলা হিসেবে পরিচিত পোখারা একজন সরকারি কর্মকর্তা এ তথ্য দিয়েছেন। এছাড়া আরও সাতজন প্রাণ হারিয়েছেন দেশটির একেবারে পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত জারাকোট জেলায়।
এদিকে নেপালের মধ্যাঞ্চলের তিন জেলা গুলমি, লামজুং এবং সিন্ধুপালচকে মোট ছয়জন মারা গেছেন। দেশটির পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কিশোর শ্রেষ্ঠ বলেন, ‘এখনো নিখোঁজ রয়েছেন এমন আটজনকে উদ্ধারে আমরা অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি।’
পুলিশ জানিয়েছে, নেপালের একেবারে দক্ষিণাঞ্চলে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত লাগোয়া কোশি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্রতিবছর এই নদী প্লাবিত হয়ে ভারতের বিহার রাজ্যে বন্যা দেখা দেয়। প্রসঙ্গত, হিমালয়ের দেশ নেপালে প্রতিবছর জুন থেকে সেপ্টেম্বরে বন্যা ভূমিধসের ঘটনা নিয়মিতই ঘটে।
পিএনএস/এএ
বন্যা ও ভূমিধসে নেপালে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪০
12-07-2020 03:20AM