দিল্লি আঞ্চলিক নিরাপত্তা বৈঠকে উঠে এলো আফগানিস্তানের বিকল্প ভবিষ্যৎ

  25-11-2021 01:59PM


পিএনএস ডেস্ক: চীন ও পাকিস্তানকে ছাড়াই এশিয়ার সাতটি দেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গে আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ‘দিল্লি আঞ্চলিক নিরাপত্তা সংলাপ’ বেশ ভালোভাবে সম্পূর্ণ করেছে ভারত। এর মাধ্যমে ক্ষমতাধর তালেবান গোষ্ঠী এবং তাদের দোসরদের বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করতে সক্ষম হয়েছে দিল্লি।

আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতা গ্রহণের পরে ভারত এই অঞ্চল থেকে প্রথমে প্রতিবাদ জানিয়েছে। দেশটি বলছে, তালেবানের হাতে আফগান জনগণকে ছেড়ে দেওয়া বিশ্ব নেতৃত্ববৃন্দের ঠিক হবে না। অর্থাৎ তালেবানকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়া যাবে না।

ভারতের ডাকে আফগানিস্তান সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে রাশিয়া ও ইরানের সাথে মধ্য এশিয়ার পাঁচটি দেশ- তাজিকিস্তান, কিরগিজস্তান, কাজাখিস্তান, উজবেকিস্তান এবং তুর্কমেনিস্তান - অংশ নিয়েছে। এই আটটি দেশের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে ভারত তালেবান সমর্থকদের কাছে একটি বার্তা পাঠিয়েছে। ভারতে বলেছে, আফগান ভূখণ্ড ব্যবহার করে এই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার খায়েস তাদের পূরণ হবে না।

একই সাথে নয়াদিল্লি আফগানিস্তানের বিকল্প স্থিতিশীল ভবিষ্যৎ তুলে ধরেন এই নিরাপত্তা সংলাপে, যেটি তালেবান ও পাকিস্তানের লক্ষ্যের ঠিক বিপরীত। ২০২১ সালের আগস্টে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পরে দেশটিতে বিশৃঙ্খলা ও অপশাসন দেখা দিয়েছে। যদিও আন্তর্জাতিক মহল আশা করেছিল, দেশটির প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনী অন্তত কাবুল দখল থেকে তালেবানদের বিরত রাখতে পারবে। কিন্তু তালেবানের সামনে পশ্চিমা প্রশিক্ষিত আফগান সেনাবাহিনী দাঁড়াতেই পারেনি। ফলে সহজেই কাবুল দখলে নেয় তালেবান।

এরপর পাকিস্তান ও তাদের আন্তর্জাতিক সমর্থকরা তালেবানের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছিল। তারা বলেছিল, এই তালেবান ৯০ দশকের তালেবানের মতো কট্টর নয়, বরং তারা এখন আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আফগানিস্তান শাসন করবে। তবে, এর মধ্যে খবর আসতে থাকে দেশটিতে মেয়েদের পড়ালেখা বন্ধ, সাংবাদিকদের ও শিয়া সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে তালেবান সদস্যরা। এরপরও পাকিস্তান তড়িঘড়ি করে তালেবানকে আফগানিস্তানের বৈধ শাসক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার চেষ্টা করেছিল।

ভারত আয়োজিত এই নিরাপত্তা সম্মেলনে মধ্য এশিয়ার দেশগুলো শরণার্থী, মাদক চোরাচালান ও উগ্র মতাদর্শের ব্যাপারে নিজের উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বর্তমানে আফগানিস্তানের দায়িত্বশীল প্রতিবেশীরা তালেবানে ক্ষমতা গ্রহণের বিষয়ে নিজেদের নিরাপত্তা উদ্বেগ প্রকাশ করা শুরু করেছে। তাই যতক্ষণ তালেবান তাদের প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়ন না করছে, ততক্ষণ নয়াদিল্লী আঞ্চলিক শান্তি নিরাপত্তায় কাজ করে যাবে।

পিএনএস/আনোয়ার


@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন