ভারতে বাংলাদেশি নারীকে গণধর্ষণ, ১১ জনের দণ্ড

  21-05-2022 01:32PM

পিএনএস ডেস্ক : ভারতের বেঙ্গালুরুতে বাংলাদেশি নারীকে গণধর্ষণ, অত্যাচার এবং সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে ছড়ানোর অপরাধে ১১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে বেঙ্গালুরুর এক স্থানীয় আদালত।

শুক্রবার আলোচিত ওই ঘটনায় অভিযুক্ত তিন নারীসহ ওই ১১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং শাস্তি হিসেবে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন থেকে নয় মাসের কারাগারের সাজার ঘোষণা দেন বেঙ্গালুরুর অতিরিক্ত ‘সিটি সিভিল এন্ড সেশন’ আদালতের বিচারক এন. সুব্রামন্যা।

দোষী সাব্যস্ত চাঁদ মিয়া ওরফে সবুজ, মহম্মদ রফিকাদুল ইসলাম ওরফে হৃদয় বাবু, মহম্মদ আলামিন হোসেন ওরফে রফসান মন্ডল, রাকিবুল ইসলাম ওরফে সাগর, মহম্মদ বাবু শেখ, মহম্মদ ডালিম ও আজিম হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাগারের সাজা দেয়া হয়েছে। তাদের সহযোগী তানিয়া খান’কে ২০ বছরের কারাগারের সাজা শোনায় আদালত।

এই গ্যাং’এর সদস্যদের সমর্থনের অভিযোগে এবং অবৈধভাবে বসবাসের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত মহম্মদ জামালকে ৫ বছরের কারাগারের সাজা দেওয়া হয়। সবকিছু জানা সত্ত্বেও অপরাধ স্বীকার না করার কারণে অন্য দুই নারী- নুসরত ও কাজলকে ৯ মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটে কর্নাটক রাজ্যের রামামূর্তি নগর পুলিশ থানার অধীন কনক নগর এলাকায়। গত ২০২১ সালের ১৮ মে নির্যাতনের ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায় চার পুরুষ এক নারীর ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে।

প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল, আক্রান্ত ওই নারী উত্তরপূর্ব ভারতের কোনো রাজ্যের বাসিন্দা। আসাম পুলিশের পক্ষ থেকে আক্রান্ত ও অভিযুক্তদের ছবি দিয়ে টুইট করার পাশাপাশি তাদের সন্ধান দিলে পুরস্কারেরও ঘোষণা দেওয়া হয়।

পরে আসাম পুলিশের তরফে আরেকটি টুইট করে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশ ও বেঙ্গালুরু সিটি পুলিশের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে যে আক্রান্ত নারী ও অভিযুক্তরা সকলেই বাংলাদেশি। অভিযুক্তদের বেঙ্গালুরু পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

এরপর তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়। অভিযুক্তদের খোঁজে বেঙ্গালুরুসহ সংলগ্ন রাজ্যগুলিতেও অভিযান চালায় বেঙ্গালুরু পুলিশ। তদন্তে নেমে ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে মোট ১২ জনকে আটক করা হয়। এর মধ্যে ১১ জনই বাংলাদেশি নাগরিকের প্রত্যেকেই অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে এবং বেঙ্গালুরুতেই বসবাস করছিল। বাকিজন বেঙ্গালুরু বাসিন্দা।

পিএনএস/আলাউদ্দিন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন