পরমাণু চুক্তি বিষয়ে ভিয়েনা আলোচনার সর্বশেষ পরিস্থিতি

  08-08-2022 08:22AM




পিএনএস ডেস্ক : ইরানের আলোচকদলের উপদেষ্টা মোহাম্মদ মেরান্দি গতকাল সন্ধ্যায় বলেছেন: ভিয়েনা আলোচনায় সামগ্রিক অগ্রগতি হয়েছে, তবে এখনও কিছু সমস্যা সমাধান হওয়া দরকার।

তিনি বলেন আমেরিকা এবং ইউরোপীয়রা ইরানের ওপর তাদের দাবি ও সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চেয়েছে কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে। পরমাণু সমঝোতা বিষয়ক আলোচনায় ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী কোনো ইস্যু ছিল না। পশ্চিমা মিডিয়াগুলো এ বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করেছে।

মেরান্দি আরও বলেন: ইরানের সব দাবিই জেসিপিওএ বা পরমাণু সমঝোতার কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত ছিল। কাঠামো বহির্ভুত কিছুই ছিল না। পরমাণু সমঝোতার ব্যাপারে আমেরিকার বিগত আচরণ ভালো ছিল না-উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন: ইরানের উদ্বেগ নিরসনের জন্য আমেরিকাকে সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ইরানের জন্য উন্নয়ন ও অগ্রগতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যতক্ষণ উন্নয়ন ও অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে ততক্ষণ আলোচনাও অব্যাহত থাকবে। আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো একটি সুষ্ঠু ও ন্যায়ানুগ সমঝোতায় পৌঁছানো।

গত কয়েকদিনের আলোচনায়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেওয়া প্রস্তাবসহ বাদবাকি ইস্যুগুলোতে ইরানের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মোহাম্মদ মেরান্দিও এ বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। এ ক্ষেত্রে ইরান গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়ে নিশ্চয়তা চায় তা হলো ভবিষ্যতে ইরানের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য কোনো ইস্যু যেন না থাকে।

বুধবার থেকে ভিয়েনায় শুরু হওয়া আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা। পশ্চিমা কোনো কোনো মিডিয়ায় এ বিষয়ে বাস্তবতা বহির্ভুত প্রতিবেদন প্রচার করা হয়েছে। ইরানি প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে যেসব প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে সেসবই ভিয়েনা বৈঠকের দীর্ঘ প্রত্যাশিত ইতিবাচক ফলাফল অর্জনের লক্ষ্যেই দেওয়া হয়েছে।

ভিয়েনায় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার বিষয়ক আলোচনার এ পর্যায়ে ইরানের অন্যতম দাবি হল ইরানের পরমাণু কর্মসূচির বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন দাবির ভবিষ্যত নির্ধারণ করা। এর আগে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা ইরানের তিনটি পরমাণু স্থাপনা সম্পর্কে প্রতিবেদন দিয়েছিল। এ বিষয়টি এবারের আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। এই সমস্যাটির সমাধান করা এবং ভবিষ্যতে ইরানি জাতির বিরুদ্ধে চাপ প্রয়োগের হাতিয়ারে পরিণত হতে পারে এমন ইস্যু বাতিল করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

অপর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ইউরোপীয়রা যদি সত্যিকার অর্থে ইরানের সাথে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে চায়, তাহলে তাদের উচিত আমেরিকার নীতি অনুসরণ করা থেকে বিরত থাকা এবং স্বাধীনভাবে নিজেদের অবস্থান গ্রহণ করা। ভিয়েনা আলোচনার একটা কার্যকর ও শুভ সমাপ্তির জন্য এ বিষয়গুলো বিবেচনায় নেওয়া খুবই জরুরি বলে বিশেষজ্ঞমহল মনে করেন।

পিএনএস/আনোয়ার



@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন