আমল ও অর্থ নষ্টের নতুন পথ

  03-11-2022 07:59PM

পিএনএস ডেস্ক : জুয়া একটি জঘন্য ঘৃণ্য কাজ। সামাজিকভাবে এর সঙ্গে জড়িতদের পছন্দ করা হয় না। তাই লোকলজ্জার ভয়েও অনেকে প্রকাশ্যে জুয়ায় জড়ানোর সাহস করে না। কিন্তু এখন জুয়াড়িরা নতুন নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করছে।

ফেসবুক চালু করলেই স্ক্রিনে ভেসে উঠছে একাধিক অনলাইন জুয়ার পেজ। ফেসবুক আইডি, পেজ, গ্রুপ, ওয়েবসাইট ও মোবাইলভিত্তিক এনক্রিপ্টেড অ্যাপস দিয়ে চলছে জুয়ার এ সাইটগুলো।

সম্প্রতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ উপলক্ষে লোকাল, সুপার ও অনলাইন এজেন্ট নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তাতে নানা রকম সুবিধার হাতছানি। টাকার নিশ্চয়তাসহ দ্রুত লেনদেনের মাধ্যমে সব ধরনের বেটিং বুঝিয়ে দেওয়ার অফার আছে বিজ্ঞাপনে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমেই এসব সাইটে লেনদেন সহজ হওয়ায় যাদের কাছে ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড নেই, তারাও খুব সহজে জুয়ায় জড়িয়ে যাচ্ছে।

তথ্য-প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা বলছেন, আশঙ্কাজনক হারে অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হচ্ছে তরুণরা। খোয়াচ্ছে বিপুল টাকা। আর এ টাকার বড় অংশ চলে যাচ্ছে বিদেশে।

প্রাথমিকভাবে প্রতারকরা মোবাইলে সহজে টাকা উপার্জনের লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে মানুষকে তাদের অ্যাপস ব্যবহার করতে বাধ্য করে। অনেকে প্রথমদিকে কিছু টাকা আয়ও করে। পরবর্তী সময়ে লোভে পড়ে যখন মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করে, তখনই তা নিয়ে প্রতারকরা সব যোগাযোগ বন্ধ করে দিচ্ছে।

অতএব কোনো মুসলমান এ ধরনের হারাম কাজে কোনোভাবেই আত্মনিয়োগ করতে পারে না। এভাবে জুয়া আমাদের সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। বহু মানুষের দুনিয়া-আখিরাত বিনষ্ট হচ্ছে। মহান আল্লাহ সবাইকে এ ধরনের পাপ থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন


পিএনএস/শাওন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন