জনসমক্ষে ইবরাহিম (আ.)-এর দাওয়াত

  30-12-2022 12:41PM



পিএনএস ডেস্ক : আল্লাহ বলেন, ‘তখন তারা (ইবরাহিমের সম্প্রদায়) মনে মনে চিন্তা করে দেখল এবং একে অপরকে বলতে লাগল, তোমরাই তো সীমালঙ্ঘনকারী। অতঃপর তাদের মাথা অবনত হয়ে গেল, (তারা বলল) তুমি তো জান যে তারা কথা বলে না।

ইবরাহিম বললেন, তবে কি তোমরা আল্লাহ ছাড়া এমন কিছুর ইবাদত কর যা তোমাদের কোনো উপকার করতে পারে না, ক্ষতিও করতে পারে না? ধিক তোমাদের জন্য এবং আল্লাহ ছাড়া তোমরা যাদের ইবাদত কর তাদের জন্য। ’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত : ৬৪-৬৭)


আল্লাহর পরিচয় তুলে ধরতে ইবরাহিম (আ.)-এর বুদ্ধিদীপ্ত যুক্তি শুনে মাথা নিচু করে ফেলে উপস্থিত লোকজন। এরপর সবাই একে অপরকে দোষারোপ শুরু করে। কারণ তারা তাদের উপাস্যদের নিরাপত্তায় গুরুত্ব দেয়নি কেন।

অবশেষে ইবরাহিম (আ.)-এর এসব প্রশ্নের যৌক্তিক জবাব দিতে না পেরে তাঁর সম্প্রদায় বলল, তুমি তো জান যে এরা কথা বলতে পারে না। ইবরাহিম (আ.)-এর প্রশ্নের কাছে আত্মসমর্পণ করে এবার তারা নিজেদের ঔদ্ধত্য ও অহমিকার পথে চলা শুরু করে।


এদিকে ইবরাহিম (আ.)-এর কথা শুনতে তার সম্প্রদায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সমবেত হয়। এত মানুষের উপস্থিতির সুযোগে ইবরাহিম (আ.) সবার সামনে আল্লাহর পরিচয় তুলে ধরেন। তিনি মূর্তিগুলোর অক্ষমতা ও অসারতার কথা তুলে ধরে বলেন, তোমরা এসব বস্তুর উপাসনা কিভাবে কর যারা তোমাদের কোনো উপকার বা অপকার কিছুই করতে পারে না। তোমাদের জন্য এবং তোমাদের উপাস্যদের জন্য দুঃখ হয়। এরপর তিনি সবার বিবেক-বুদ্ধির প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে দেন।

ইরশাদ হয়েছে, ‘যখন তিনি তাঁর পিতা ও তাঁর সম্প্রদায়কে জিজ্ঞাসা করেন যে তোমরা কিসের পূজা করছ? তোমরা কি আল্লাহর বদলে অলীক উপাস্যগুলোকে চাও? জগতের প্রতিপালক সম্পর্কে তোমাদের ধারণা কী?’ (সুরা সাফফাত, আয়াত : ৮৫-৮৭)

মূলত জনসমক্ষে মানুষকে আল্লাহর পথে ডাকা নবী-রাসুলদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। তাই যুগে যুগে চ্যালেঞ্জের মোকাবেলায় সবার সামনে আল্লাহর পরিচয় তুলে ধরা হয়। ফেরাউনের সঙ্গে মুসা (আ.)-এর চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আমরা অবশ্যই তোমার কাছে এ ধরনের জাদু উপস্থিত করব, সুতরাং আমাদের ও তোমাদের মধ্যে এক মধ্যবর্তী স্থানে একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করো, যার ব্যতিক্রম আমরাও করব না এবং তুমিও করবে না। (মুসা) বললেন, তোমাদের নির্ধারিত সময় উৎসবের দিন এবং যেদিন পূর্বাহ্নে জনগণকে সমবেত করা হবে। অতঃপর ফেরাউন উঠে যায়, পরে তার কৌশলগুলো একত্র করে এলো। ’ (সুরা তোহা, আয়াত : ৫৮-৬০)

তাফসির : আলোচ্য আয়াতে ভেঙে ফেলা নির্জীব উপাস্যদের অসারতা তুলে ধরা হয়।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন