ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ার‌ম্যানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল

  19-09-2021 09:45PM

পিএনএস ডেস্ক: ২০২০ সালে দেওয়া আদালতের নির্দেশনা প্রতিপালন না করায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দেওয়া আদেশের বিষয়টি রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) নিশ্চিত করেন রিটকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল ইসলাম আশরাফ।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল ইসলাম আশরাফ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।

আইনজীবী আশরাফুল ইসলাম জানান, করোনা মহামারির অজুহাত দিয়ে রামপুরা একরামুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রহিমা খাতুনসহ ১০ জনকে ২০২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর অব্যাহতি দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ।

এরপর স্কুল কর্তৃপক্ষের আইন বহির্ভূতভাবে শিক্ষকদের অব্যাহতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড ঢাকার চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেন শিক্ষকেরা। কিন্তু শিক্ষাবোর্ড তাদের সেই আবেদনটি নিষ্পত্তি না করে গড়িমসি করায় আটজন শিক্ষক হাইকোর্টে রিট করেন।

ওই রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানকে আবেদনটি নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন। কিন্তু দীর্ঘ ১০ মাসেও আবেদনটি নিষ্পত্তি না করায় তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা অভিযোগ আনার আর্জি জানিয়ে আবেদন করা হয়। ওই আবেদন শুনানি নিয়ে ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননায় কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন।

আইনজীবী আশরাফুল ইসলাম আশরাফ আরও বলেন, পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছিল রামপুরা একরামুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। স্কুলের আয় থেকে এসব শিক্ষকের বেতন হতো। করোনার সময় তাদের এক টাকাও দেওয়া হয়নি। হঠাৎ করেই গত বছরের সেপ্টেম্বরে করোনার অজুহাত দেখিয়ে ১০ শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এটা সম্পূর্ণ অমানবিক। মূলত স্কুলটির প্রধান শিক্ষক এবং ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি মিলে নতুন করে একটি নিয়োগ বাণিজ্য করার জন্য এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পুরোনো শিক্ষকদের বিদায় দিয়ে নতুন করে আবার নিয়োগ বাণিজ্য করার জন্যই মূলত এটি করেছে বলে অভিযোগ করেন রিটকারীদের এ আইনজীবী।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন