যে গ্রামে মানুষের বয়স ৫০ পেরোলেই হয়ে যান অন্ধ!

  10-02-2022 11:30PM

পিএনএস ডেস্ক: উত্তর আমেরিকার দেশ পেরুর একটি প্রত্যন্ত পাহাড়ি গ্রাম পারান। যেখানে বয়স ৫০ পার হলেই অন্ধ হয়ে যায় গ্রামের পুরুষরা।

ছোট্ট পাহাড়ি গ্রামটিতে সব মিলিয়ে বসবাস ৩৬০ জন মানুষের। যাদের ৭৫ শতাংশই অন্ধ। ফলে পারান গ্রামটি পরিচিতি পেয়েছে ‘অন্ধদের গ্রাম’ বা ‘দৃষ্টিহীনদের গ্রাম’ বলে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জিনগত কারণেই এই পরিণতি এই গ্রামের বাসিন্দাদের।

জানা যায়, প্রায় ৩ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই গ্রামের বেশির ভাগ মানুষই চোখের একটি জিনগত রোগে আক্রান্ত। জন্মগত সেই রোগের নাম ‘রেটিনাইটিস’। যার ফলে একটা সময় চোখের ‘টানেল ভিশন’ নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলেই তাদের জীবনে নেমে আসে অন্ধত্ব।

গ্রামটির ইতিহাস থেকে জানা যায়, বহুকালে আগে সাতটি পরিবার গড়ে তোলে এই গ্রাম। তারাই নাকি সঙ্গে করে নিয়ে আসে অন্ধত্বের এই রোগ। সে সময় ডাক্তার দেখিয়ে চিকিৎসা করানোর কথা ভাবাই যেত না এই দুর্গম গ্রামে। সেখানে ছিল না কোনো চিকিৎসক। এমনকি কোনো রাস্তাও ছিল না পারানে।

সম্প্রতি গ্রামটিতে পাওয়া গেছে সোনা, রুপার খনি। তারই খোঁজে হাজির হওয়া একটি খনন সংস্থার কল্যানে পারান মূল ভূখণ্ডের সংযোগকারী নতুন রাস্তা হয়েছে। খনন সংস্থার চিকিৎসকরাই গ্রামের অন্ধ পুরুষদের চোখ পরীক্ষা করেন। এরপরই জানা যায়, এই রোগ আসলে জন্মগত। এক্স ক্রোমোজোমের সমস্যাই এই রোগের কারণ।

চিকিৎসকরা আরো জানান, যে মায়েদের এক্স ক্রোমোজোমের সমস্যা রয়েছে তাদের পুত্র সন্তান জন্ম নিচ্ছে ভবিষ্যৎ অন্ধত্বের নিয়তি নিয়েই। এ রোগের কোনও চিকিৎসা নেই বলেও জানিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসকদের ওই দল।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন