প্রায় ৫০০০ বছর আগে কীভাবে পিরামিডের ভারী পাথরখণ্ড বহন করা হতো, জানেন?

  06-09-2022 11:34AM




পিএনএস ডেস্ক: যখন প্রযুক্তির বিন্দুমাত্র অগ্রগতি ঘটেনি, তখন কীভাবে পিরামিডের মতো এমন নির্মাণশৈলীর বিস্ময় রচিত হল, তা নিয়ে বহু ভাবনা বহুদিন ধরে আধুনিক যুগের কাছে নানা প্রশ্ন তুলেছে। কিন্তু সেই অর্থে উত্তর মেলেনি।

এ নিয়ে গবেষণাও হয়েছে বিস্তর। ২৩ লাখ গ্রানাইট ব্লক এবং চুনাপাথর মরুভূমির একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। নীল নদীর তীর ধরে টন টন মাল কী করে এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হল? অনেক দিন ধরে অনেক রকম গবেষণা হয়েছে।

কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণা এ বিষয়ে এক নতুন তত্ত্ব হাজির করেছে। গবেষকেরা দেখিয়েছেন, অন্তত ৪,৫০০ বছর আগে নীল নদী থেকে একটা খালের মতো কেটে সেই জলপথে গ্রানাইট ও চুনাপাথর নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে আর নীল নদীর সেই শাখার চিহ্ন দেখা যায়নি। আগে নীল নদীতে পানির স্তরও অনেক বেশি ছিল (যা এখন আর নেই)। সেই উচ্চ পানিস্তরকে কাজে লাগিয়ে সেই অসাধ্যসাধন করা হয়েছিল। এত খুঁটিনাটি সব জানা গেছে ‘প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সে’ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র থেকে।

এক বিশেষ ধরনের প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞানীরা জেনেছেন, অন্তত পক্ষে ৮০০০ বছর আগের এক জলপথরেখা নীল নদীর সঙ্গে সংযুক্ত ছিল বলে তারা জানতে পেরেছেন। পোলেন-ডিরাইভড ভেজিটেশন প্যাটার্ন নামের এই প্রযুক্তিই এই নতুন তথ্য সামনে এনে দিয়েছে।

২০১৩ সালে লোহিত সমুদ্রের এক প্রাচীন বন্দরে প্যাপিরাসের টুকরো পাওয়া গিয়েছিল। আর সেই সূত্র ধরে গোয়েন্দাগিরি করে এই নতুন আবিষ্কার। ওই গবেষকদের প্রস্তাবিত পথ ধরে গিজার মরুতে একটি ড্রিল করেছিল দলটি। অন্তত ৩০ ফুট গর্ত করে তার ভিতর থেকে সেডিমেন্ট সংগ্রহ করা হয়েছিল। সেখান থেকেই পুষ্পরেণু সংগৃহীত হয়েছে। যার সূত্র ধরে ক্রমে বোঝা গেছে, এক সময় এখানে এক জলপথ ছিল।

মিশর যখন ক্রমশ শুকিয়ে যেতে থাকল, তখনই এই পরিখাটিও শুকিয়ে যায়। আর ক্রমে সেখানে বালি স্তরের আস্তরণ পড়ে পড়ে জায়গাটির ভূপ্রকৃতিই সম্পূর্ণ বদলে যায়। কিন্তু প্রকৃতির নিদর্শনই শেষ পর্যন্ত ধরে দিল পুরনো প্রযুক্তির রহস্য। সূত্র: সিএনএন, নিউ ইয়র্ক টাইমস, বিজনেস ইনসাইডার

পিএনএস/আনোয়ার


@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন