টাকা আত্মসাতের দায় নিজের কাঁধে নিয়েছেন ইভ্যালির সিইও

  20-09-2021 10:33AM

পিএনএস ডেস্ক: ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেল গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের সব দায় নিজের কাঁধে নিয়েছেন। এর সাথে তার স্ত্রী ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের কোনও সম্পৃক্ততা না থাকার কথা জানিয়েছেন তিনি।

রাজধানীর গুলশান থানা পুলিশ তাদের দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি এ কথা জানান বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। সূত্র আরও জানিয়েছে, রাসেল দেশ ছেড়ে পালাতে চেয়েছিলেন। তবে গোয়েন্দা নজরদারিতে থাকায় তার পক্ষে তা সম্ভব হয়নি।

অন্যদিকে রাসেল ও তার স্ত্রীর মুক্তির দাবিতে গণস্বাক্ষর নিতে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ের সামনে জড়ো হচ্ছেন গ্রাহক ও সেলাররা। গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ধানমন্ডির ১৪ নম্বর সড়কে ইভ্যালির প্রধান কার্যালয়ের সামনে তাদের জড়ো হতে দেখা যায় । এ বিষয়ে কর্মসূচির আহ্বায়ক মীর আমজাদ হোসেন আকাশ বলেন, ‘আমরা চাই প্রধান নির্বাহী আমাদের মাঝে ফিরে আসুক। গ্রাহকদের পাওনা মিটিয়ে দিক। তাকে গ্রেপ্তার করে আটকে রাখা কোনও সমাধান নয়। গ্রাহক ও সেলাররা তাদের প্রাপ্য ফিরে পাক।’

এর আগে শনিবার রাতে ইভ্যালির বিরুদ্ধে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় আরেকটি মামলা হয়েছে। মামলায় মো. রাসেল ও শামীমা নাসরিনসহ ১২ জনকে আসামি করা হয়। কামরুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী মামলাটি করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ধানমন্ডি থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- ইভ্যালির ভাইস প্রেসিডেন্ট আকাশ, ম্যানেজার জাহেদুল ইসলাম, সিনিয়র অ্যাকাউন্টস ম্যানেজার তানভীর আলম, সিনিয়র এপিকিউটিভ (কমার্শিয়াল) জাওয়াদুল হক চৌধুরী, হেড অব অ্যাকাউন্ট সেলিম রেজা, অ্যাকাউন্টস ম্যানেজার জুবায়ের আল মাহমুদ, অ্যাকাউন্ট শাখার কর্মী সোহেল, আকিবুর রহমান তুর্য, সিইওর পিএস রেজওয়ান ও বাইক ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তা সাকিব রহমান। এ ছাড়া মামলার এজাহারে আরও ১৫-২০ জন অজ্ঞাতনামা আসামির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

ইভ্যালির বিরুদ্ধে গত ১৬ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় এক গ্রাহকের করা মামলা ওই দিন বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসায় অভিযান চালিয়ে রাসেল ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন