পিএনএস ডেস্ক: রাজধানীর সবুজবাগ ও আদাবর থানা এলাকায় পৃথক ঘটনায় শিক্ষার্থী ও গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতের দিকে এই ঘটনা ঘটে।
ওই শিক্ষার্থীর নাম শাহরিয়ার (১৬), আর গৃহবধূ মোছা. সুমি আক্তার (২০)। তাদের পরিবারের দাবি, তারা আত্মহত্যা করেছেন।
শিক্ষার্থীর চাচা আজিজুল ইসলাম বলেন, আমার ভাতিজা মুগদা রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল। সে প্রি টেস্ট পরীক্ষা দিয়েছে, কিন্তু পরীক্ষায় কিছু সাবজেক্ট খারাপ হওয়ায় অভিমান করে। ফলে নিজ বাসার স্টোর রুমে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
সবুজবাগ থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিমল চন্দ্র পাইন বলেন, আমরা খবর পেয়ে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, ওই শিক্ষার্থীর বাসা সবুজবাগের দক্ষিণ মাদারটেকে। তার চাচার কাছে থেকে জানতে পারি সে আত্মহত্যা করেছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।
অপরদিকে গৃহবধূ সুমি আক্তারের বড় ভাই আব্দুল মালেক বলেন, আমার বোনের প্রায় পাঁচ মাস আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ লেগে থাকতো। এর ধারাবাহিকতায় তার নিজ রুমের দরজা বন্ধ করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেয়। পরে আমরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসাধীন ব্যবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আদাবর থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল বাশার জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আদাবরে স্বামীর সঙ্গে থাকতেন তিনি।
পিএনএস/আইএইচ
রাজধানীতে গৃহবধূ ও শিক্ষার্থীর মৃত্যু
05-12-2021 06:13PM